যশোরের তামান্না আক্তার নূরা, যে কিনা শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে যে পড়ালেখায় একের পর এক সাফল্য পেয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর তাকে উৎসাহ দিতে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
এবার তাকে ফোন দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ভরসা দিয়েছেন সামনে এগিয়ে যাওয়ার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দীপু মনি মঙ্গলবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে তামান্নার বাবার ফোনে কল দিয়ে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছেন।
তামান্নার বাবা রওশন আলী বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী আমার ফোনে কল দিয়ে তামান্নার খবর নেন। একপর্যায়ে তামান্নার সঙ্গে কথা বলতে চান। আমার মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘ ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড কথা বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজি পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। দেখা করার জন্য শিগগিরই যশোর আসবেন বলেও জানিয়েছেন।’
রওশন আলী আরও জানান, শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মনোবল হারানো যাবে না। গোটা বাংলাদেশ তোমার সঙ্গে আছে। তুমি এগিয়ে যাও। তোমার সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আছেন।
‘তুমি নূরের নূর। আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিন তোমাকে নূরের আলোয় আলোকিত করেছে। এক পা দিয়ে তুমি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছ, তুমি পারো এবং পারবে।’
জন্ম থেকেই দুই হাত ও এক পা নেই যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের তামান্নার। ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তিনি যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন।
এর আগে পিইসি, জেএসসি ও এসএসসিতেও তিনি জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন। দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক বাবা ও গৃহিণী মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে বড় তামান্না।
তার এখন স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। পড়ালেখা শেষে তিনি হতে চান বিসিএস ক্যাডার।