ফজলুর রহমান, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক শিরোমণিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের তিলকারা ও ইউলিয়াটলি, বামুনিয়া, বঙ্গভিটা পাড়ায় সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে রাস্তার সরকারি মেহেগুনি, ঘোড়ানিম ,কাঁঠাল ,আম, ও জাম সহ ১০টি গাছ অবৈধভাবে কাটার অভিযোগে ঐ এলাকার গাছ চোর দের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। জানা গেছে, সরকারি উন্নয়ন বন বিভাগের সহযোগীতায় প্রায় ২০ বছর আগে একটি উপকারভোগী সদস্যদের নিয়ে সংগঠন গঠিত হয়। সে সময় পাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও উপকারভোগী সংগঠন সহ যৌথভাবে ঐ এলাকার রাস্তার দুইপাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করে। এ বিষয়ে তাদের একটি চুক্তিও হয়। বর্তমানে গাছগুলো বড় হয়েছে। উপকারভোগী সংগঠন বর্তমান কমিটি সরকারি নিয়মনীতি মেনে রাস্তার গাছ রক্ষণাবেক্ষণ দেখাশোনা করেন। ২২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকালে ১০ টি গাছ কাটা হয়। এ বিষয়ে ঐ উপকারভোগী সংগঠনের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন জানান, আমাকে ও সদস্যদের কে না জানিয়ে ১০ টি গাছ চুরি করে বিক্রয় করা হয়েছে। আমি সদস্যদের কে নিয়ে গাছগুলি আটকে দিয়েছি এবং পুলিশ প্রশাসনকে খবর দিয়ে পুলিশের হাতে গাছ গুলো বুঝিয়ে দিয়েছি। উপকারভোগী সংগঠনের সভাপতি জাকির হোসেন জানান,গাছ কাটার বিষয়ে সরকারিভাবে কোন দপ্তর থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি। সকলের সম্মতি নিয়ে রেজুলেশন করে গাছ বিক্রি করা হবে। তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যানের সাথেও কথা হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ সহ টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলি বিক্রয় করা হবে । এ বিষয়ে পাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলে রাব্বী রুবেল বলেন, সকল উপকারভোগী মিলে গাছগুলি টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে। এখন বর্তমানে যে ১০ টি গাছ আটক করা হয়েছে সেগুলো পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হোক এবং আইন অনুযায়ী গাছ চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করার জন্য বালিয়াডাঙ্গী থানা অফিসার ইনচার্জ খায়রুল আলম কে গাছ চোর দের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করবো। যেন আর কোন দিন এভাবে রাস্তার গাছ কাটা না হয় ,মামলা হলে গাছ কাটতে ভয় পাবে গাছ চোরেরা।
২১ views