গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় ১৬ লাখে। সেই অনুযায়ী আগামীকালকের তুলনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ দুটোই কমেছে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ৩৪৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় এক হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৯ লাখ ৫৬ হাজার ৩১৩ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৯ হাজার ৫৭৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় দেড় লাখ। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ কোটি ৩২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৭ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯ জন এবং মারা গেছেন ২৩৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪ হাজার ১৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২৩ হাজার ১৩০ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ হাজার ২১৩ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৮৪৬ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৫ লাখ ৩২ হাজার ২৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ লাখ ৭২ হাজার ১৯৩ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৮৭ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৬০ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ২৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩৬৫ জনের। একই সময়ে স্পেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৫২৭ জন এবং মারা গেছেন ২৪৮ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৮১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৯০ হাজার ১৯৯ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৮৬ লাখ ৭১ হাজার ১৯৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৪৮ হাজার ২৬৭ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫৪ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ৩৯৯ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৯ লাখ ৪ হাজার ৭৪৪ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ১৩ হাজার ৫১২ জন।
যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৯৩৩ জন এবং মারা গেছেন ১২০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৮ লাখ ৪ হাজার ৭৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬১ হাজার ২২৪ জন মারা গেছেন। একই সময়ের মধ্যে পোল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭২৪ জন এবং মারা গেছেন ১৯৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ হাজার ৭৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২৬৬ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৯৪৮ জন এবং মারা গেছেন ১৯৩ জন।
এছাড়া গত একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ১৩৮ জন এবং মারা গেছেন ১৮৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৫ লাখ ৯৩ হাজার ১০৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯৫৮ জন মারা গেছেন। গত একদিনে কলম্বিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৫৯ জন এবং মারা গেছেন ৮০ জন।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আর্জেন্টিনায় ৮৬ জন, গ্রিসে ৬৫ জন, ইরানে ২১৪ জন, জাপানে ২২৬ জন, রোমানিয়ায় ১১৫ জন, কানাডায় ৯৭ জন, ফিলিপাইনে ৫৯ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১২৭ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ২৪৪ জন এবং হাঙ্গেরিতে ৮৮ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৩৬২ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৩০৩ জনের।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।