নয়ন বাগেরহাট প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ বাগেরহাটের কচুয়ায় ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী (১৪)কে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মূল হোতা এজাজুল মোল্লা (২১) গ্রেফতার। শুক্রবার গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী শাখারীকাঠি গ্রাম থেকে তাকে কচুয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। ধর্ষক এজাজুল মোল্লা উপজেলার কলমিবুনিয়া গ্রামের আব্দুল কাদের মোল্লা ছেলে।বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে কচুয়া উপজেলার কলমিবুনিয়া গ্রামে ওই শিক্ষার্থীর ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে স্থানীয় চার বখাটে তাকে ধর্ষণ করে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই শিক্ষার্থীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে তার পরিবার।নির্যাতিতা কিশোরী কচুয়া উপজেলার মসনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণি শিক্ষার্থী। কিশোরী বলেন, বুধবার বাবা ও মা আমার বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এজাজুল মোল্লা, সোহেল শেখ, টিপু শেখ ও সজিব মোল্লা জোরপূর্বক আমাদের ঘরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে তারা আমার গলায় ছুড়ি ধরে এবং দড়ি দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। তাদের অত্যাচারে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।ধর্ষণে অভিযুক্ত এজাজুল মোল্লা (২২) কাদের মোল্লার ছেলে,সোহেল শেখ (২২)আজাহার শেখের ছেলে, টিপু শেখ (২৫) ইউসুফ শেখের ছেলে এবং সজিব মোল্লা (২৫) বারেক মোল্লার ছেলে। এদের সবার বাড়ি কলমিবুনিয়া গ্রামে। তারা এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় অনেক মেয়ের সাথে এর আগেও তারা খারাপ ব্যবহার করেছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লা।বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। আমরা মেয়েটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করছি।বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আছাদুজ্জামান জানান, মামলা দায়ের আগেই প্রযুক্তির সহয়তা নিয়ে পার্শ্ববর্তী শাকারীকাঠি গ্রাম থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মূল হোতা এজাজুল মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে কচুয়া থানায় মামলা করেছে। অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।