ইউক্রেন সৈন্যদের অপ্রত্যাশিত কঠোর প্রতিরোধের মুখে রাশিয়ার আক্রমণকারী বাহিনী ধীর ও হতাশ হয়ে পড়েছে এবং এ প্রতিরোধ তাদের রাজধানী কিয়েভের বাইরে রাখতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছে পেন্টাগন।
যুক্তরাষ্ট্রের এক সিনিয়র প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা শনিবার এ কথা জানান।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেনের সামরিক শক্তি জোরদারে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ করছে। আগামী দিনগুলোতে আরো অস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ওয়াশিংটনের।
পেন্টাগণের দেয়া তথ্যমতে, রাশিয়ার বিশাল আগ্রাসী শক্তির অন্তত ৫০ শতাংশ এখন ইউক্রেনে রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন ওই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, কিন্তু রুশ বাহিনী ইউক্রেনের দিক থেকে অপ্রত্যাশিত বাধা পেয়ে তাদের গতি ধীর করেছে।
এদিকে মস্কোয় শনিবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, রুশ মিত্র বেলরুশে আলোচনায় বসতে কিয়েভ অস্বীকৃতি জানানোর পর রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে হামলা আরও বিস্তৃত করার নিদের্শ দেয়া হয়েছে।
রুশ সেনা মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ এক ঘোষণায় বলেন, সব কটি ইউনিটকে আজ অভিযানের পরিকল্পনা অনুযায়ী সকল দিক থেকে অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া রুশ অভিযানে ইউক্রেনে এ পর্যন্ত ১৯৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে কিয়েভ দাবি করেছে।
এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলোনস্কি অঙ্গীকার করে বলেছেন, তার দেশ কখনই ক্রেমলিনের কাছে নতি স্বীকার করবে না।