মাইদুল ইসলাম,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বিভিন্ন সমস্যায় ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে কিশামত বাগচী ঈদগাহ মাঠসহ কবরস্থান।সমস্যা থেকে উত্তোরণে সরকারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতার দাবি এলাকার ভুক্তভোগী জনগণের।
জানা গেছে,গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের কিশামত বাগচী বটের তল নামক স্থানটির রাস্তার দু’পাশের জমিগুলো এক সময় কৃষিকাজে ব্যবহার করা হতো।সময়ের পরিক্রমায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এ এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের অনুপ্রেরণায় ১৯৬৬ ইং সালে এখানে গড়ে ওঠে সিদ্দিকিয়া দ্বিমুখী সিনিয়র ( আলিম) মাদ্রাসা।নিত্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে কৃষিজমি ভরাট করে লাগানো হয়েছে বাজার যা সকাল সন্ধ্যায়
ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে মুখরিত থাকে।এসব কারণে বটেরতল নামক এ বাজারের পরিচিতি ব্যাপক।এখনো দন্ডায়মান প্রাচীন এ বটগাছের কারণে বাজারটির নামকরণ হয় বটেরতল বাজার।
এ বটগাছটি সরকারের খাস-খতিয়ানভুক্ত ১ একর ৯ শতাংশ জমির ওপরে দন্ডায়মান। এ জমির মধ্যে বটগাছের সাথেই রয়েছে ঈদগাহ মাঠ,জামে মসজিদ,২০/২৫ শতাংশ জমির ওপরে প্রায় ২’শ বছরের পুরাতন কবরস্থানসহ বিশাল আকৃতির গভীর পুকুর। এ এলাকার সাধারণ জনগণের দাবি,কিশামত বাগচী গ্রামসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম মিলে এটিই একমাত্র কবরস্থান।
চাহিদার তুলনায় এ অপ্রতুল জায়গায় হাজার হাজার মানুষ কবরস্থ হওয়ায় এখন আর তিল ধারণের ঠাঁই নেই। নতুন করে কবর খনন করা হলে বের হয়ে আসে পুরাতন হাড়-গোর।
ফলে নতুন করে কবর খননের সুযোগ নেই।জায়গা বৃদ্ধির সুযোগ থাকলেও প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সীমানা প্রাচীর না থাকায় দিনের পর দিন এটি অপবিত্র স্থানে পরিণত হচ্ছে। পাশেই ঈদগাহ মাঠসহ জামে মসজিদ থাকলেও নেই অজুখানাসহ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে নামাজে আসা মুসল্লীগণকে।
ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থান কমিটির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আঃ আজিজ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জহুরুল আলম জানান,এলাকার দানশীল ব্যক্তিদের অনুদানে মসজিদসহ ঈদগাহ মাঠের সামান্য উন্নয়নমূলক কাজ করা হলেও উল্লেখিত সমস্যাগুলো সমাধানে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে সরকার তথা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন এমটাই প্রত্যাশা এলাকার সাধারণ জনগণসহ কমিটির সকল সদস্য বৃন্দের।