চিংথোয়াই অং মার্মা থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ “বঙ্গবন্ধু জন্মদিনের অঙ্গীকার, সকল শিশুর সমান অধিকার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১শত ২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনে বান্দরবানে থানচিতে সপ্তাহ ব্যাপী মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকালে উপজেলা পরিষদের বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন জানান, উপজেলা আওয়ামীলীগ, উপজেলা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ। ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১শত ২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে পৃথক পৃথকভাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে র্র্যালী, আলোচনা সভা ও ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।এদিকে সকাল ১১টায় উপজেলা মাঠ প্রাঙ্গনে উপজেলা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অধিদপ্তরে স্টলে মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলা উদ্ধোধনে শেষে পরিদর্শন করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী ও উপজেলা সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধি কর্মকর্তাবৃন্দ।পরে দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদের মিলনায়তন হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী সভাপতিত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ১শত ২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা।এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত আছেন, উপজেলা প্রশাসন (এসিল্যান্ড) সহকারী কমিশনার ভূমি রাহুল চন্দ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডাঃ ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ, থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ প্রমূখ। এছাড়াও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, উপজেলা বিভিন্ন অধিদপ্তরে কর্মকর্তাগণ, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কোমল শিশুদের হৃদয়ে অধিকারী, শিশুদের প্রতি তার বাৎসল্য ছিল অপরিসীম ও অবাধ বিচরণ। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আগামীতে দেশ ও জনকল্যাণের নেতৃত্ব তারাই দেবে।বক্তারা আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অজর্নের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে আত্নবিশ্বাসী ও আত্মনির্ভরশীল একটি বীর জাতি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু সাড়ে তিন বছরে মাথায় স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্রের জাল ছড়িয়ে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের কালরাত কেড়ে নেয় স্ত্রী-সন্তানসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সব সদস্যের জীবন। কেবল দেশের বাইরে অবস্থানে কারণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। তবে বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার আদর্শ ও সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে সামনে রেখে এগিয়ে গেলেন, বাংলাদেশ।