ডেস্ক রিপোর্ট দৈনিক শিরোমণিঃ গাজিরহ্টা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বামোনডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম প্রহরী সাজ্জাদুল ইসলাম ওরফে আকিজুলের বিরুদ্ধে স্কুলের প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী রাবেয়া খাতুন(৭)কে রাবার জাতিয় লম্বা কলম দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত নিলাফুলা জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে শিশু শিক্ষার্থীর মাতা মনিরা বেগম দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও দিঘলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।অভিযোগে জানাগেছে, বিদ্যালয়ের প্রহরী সাজ্জাদুল ইসলাম প্রায়ই স্কুলের কোমলমতি শিশু ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ভয়ভীতি দিয়ে বিদ্যালয় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজ করিয়ে নিতেন। গত ৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় রাবেয়া খাতুন তার সহপাঠীদের বলে সাজ্জাদুল ইসলাম আসছে কথাটি তার কানে গেলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার নাম ধরায় রাবেয়াকে রাবার জাতিয় লম্বা কলম দিয়ে হাতে এবং পিঠে একাধিক আঘাত করে। রাবেয়া খাতুন বাড়ীতে আসলে তার হাতে এবং পিঠে ৪/৫টি আঘাতের রক্তজমাট চিহৃ দেখতে পেয়ে বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করা হয়। এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থাগ্রহণ না করায় পরদিন সাংবাদিকরা বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককের কাছে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কুমার কুন্ড বলেন সাজ্জাদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি মোকবুল হোসেন বাবু বলেন তার কাছে মারার কারণ জানতে চাইলে সাজ্জাদুল ইসলাম উল্টো হুংকার দিয়ে বলে মেরেছি কি হয়েছে যা পারে যেন করে।অভিযুক্ত প্রহরী সাজ্জাদুল ইসলাম ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে পরিষ্কার পরি”্ছন্ন করানোর কথা অস্বিকার করে রাবেয়াকে কলম দিয়ে সামান্য আঘাতের কথা স্বিকার করে।এ ব্যাপারে দিঘলিয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন বিষয়টি খুবই দু.খজনক,আমি ঘটনা শুনামাত্রই বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শ্ক্ষিক এবং বিদ্যালয়ের ম্যানির্জিং কমিটির সভাপতির সাথে আলোচনা করে বলেছি যেহেতু প্রহরী সাজ্জাদুল ইসলাম আউট সোর্সিং এ নিযোগ সে কারণে বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটি তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়ে আমাকে অবহিত করবেন। এ দিকে বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।