জুলফিকার,চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাসন আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। নির্মাণাধীন সড়কে নিয়মিত পানি ব্যবহার না করায় ধূলার দাপটে ভোগান্তিতে জনজীবন। চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে সব ধরনের যানবাহন। ভোলা-সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,ভোলার-পরাণগঞ্জ থেকে চরফ্যাসনের-বাবুরহাট পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার মহাসড়ক ২৯ ফুট প্রশস্তকরণে সড়কের দু’পাশে বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। বালু ভরাট শেষে মহাসড়কের কাজ শুরু হবে শিগগিরই।
সরেজমিনে চরফ্যাসন-বাবুরহাট মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, নিয়মিত পানি ব্যবহার না করায় সড়কে চলাচলরত গাড়ির চাকার বাতাসে ধূলা উড়ে সড়কের পাশের বাড়ি ঘর আবরণের সৃষ্টি করেছে। এবং সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাস্তায় ইঞ্জিন চালিত যানবাহন গুলো চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। মাইনকা স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নির্মাণধীন সড়কে নিয়মিত পানি ব্যবহার করতো তাহলে আর ধূলা বাতাসের সাথে উড়তো না, পথচারী ও যানবাহনের সমস্যা হতো না। একই কথা বলেন শশীভূষণের নোমান, ফ্যাসন গঞ্জের কবির হোসেন। পল্লী চিকিৎসক জাহিদ চৌধুরী বলেন, সড়কে ধূলার কারণে অনেক শিশুদের চর্মরোগ ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হতে পারে। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। ভূষামাল আড়তদার মো. বাচ্চু বলেন, ধূলার কারণে ভূষা মাল ক্রয় করতে সমস্যা হচ্ছে, মানুষ নিয়মিত বাজারে আসছে না। আমি নিজেও বাড়ি বন্দী হয়ে পড়েছি।
ধূলা থেকে বাঁচার জন্য কোথায়ও বের হই না। বেশ কিছুদিন যাবৎ সড়কটি এভাবেই পরে আছে দেখছি। সড়কটি নিয়মিত পানি সেচ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মাইনকা নাসির মাষ্টার বাজারের সড়কের পাশে বসবাসরত ইয়ানূর বেগম বলেন, বাইরে কোনো কাপড় শুকানো যায় না। ঘরের বিছানায় বসা যায় না। গাছের পাতা, ঘরের চালের রং পাল্টে গেছে। জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ আইচা থানার উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মোস্তফা বলেন, চারদিকের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা আসে পরিষ্কার জামাকাপড় নিয়ে, যায় ময়লা অবস্থায়।
সড়ক বিভাগের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের নিয়মিত সড়কে পানি ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি। চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শোভন বসাক জানান, ধূলার কারণে এলার্জি, চোখ জ্বালাপোড়া এবং শিশু বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট রোগ হতে পারে। ধূলা বালু থেকে দূরে থাকাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ভোলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, সড়কের কাজ করলে ধূলো থাকবেই, তবে ধুলা নিয়ন্ত্রণে পানি ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, প্রশস্তকরণের কাজ শেষ হলেই সড়কের কাজ দ্রত করা হবে।