নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় তৌহিদ হোসেন নামের এক স্কুল ছাত্রকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে। আহত তৌহিদ মোগরাপাড়া সরকারি এইচ জি জি এস স্মৃতি বিদ্যায়তনের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র।
৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই ছাত্রকে প্রথমে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আহত স্কুল ছাত্রের মামা শফিকুল ইসলাম সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মাদবপুর গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে তৌহিদের সঙ্গে একই এলাকার মান্নানের ছেলে মাদক সেবন নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে তারাবি নামাজ শেষে তৌহিদ বাসায় ফেরার পথে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য শান্ত মিয়ার নেতৃত্বে একই এলাকার মহানন্দের ছেলে প্রীতম দাশসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন মিলে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তৌহিদের গলায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতে ওই ছাত্রের গলায় রক্তাক্ত জখম হয়।
এ সময় ওই স্কুল ছাত্রের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
হামলার শিকার স্কুলছাত্র তৌহিদের মামা হাজী শফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতেই সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি। এদিকে, থানায় অভিযোগ করার পর থেকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার এক প্রভারশালী নেতা অভিযোগ তুলে নেওয়া জন্য ওই স্কুল ছাত্রের পরিবারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায়, দেশীয় অস্ত্রসহ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচার দিন দিন বাড়ছে। তৌহিদের ঘটনায় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর বলেন, অভিযোগ গ্রহন করে রাতেই বিষয়টি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।