1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন

জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক হলে আমিও ঘোষক: তাজুল ইসলাম

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতার ঘোষক হন, তাহলে আমিও স্বাধীনতার ঘোষক। যেদিন জিয়া ঘোষণা দেন, আমিও আমার বাড়িতে কাগজের চোঙ্গা বানিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলাম।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই স্বাধীনতার ঘোষক মানে। কারণ তিনি যা বলেছেন, মানুষ তা শুনেছে। তিনি স্বাধীনতার মহানায়ক ও স্বপ্নদ্রষ্টা। এসবের মধ্যে কাউকে ভাগ দেওয়া যাবে না। বাবা তো দুজন বানানো যাবে না। তিনি তো জাতির পিতা।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এম আব্দুল্লাহ আল মামুন খানের লেখা ‘শেকড়ে দিনবদলের অভিযাত্রা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ ভাষণ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ দিনগত রাতে যখন পাকিস্তানিরা দেশে হামলা করে তখনই যুদ্ধ শুরু হয়। ৭ মার্চের ভাষণে সব মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ২৫ মার্চ রাতে যখন পাকিস্তানিদের সঙ্গে সব আলোচনা শেষ হয়ে গেলো, তখন জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই কিন্তু যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা দিবস তো ২৬ মার্চ। ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা দেন। মেজর রফিক তখন ক্যাপ্টেন ছিলেন। ওই সময়ে জিয়া যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা ছিল বাংলাদেশের সেনাবাহিনী যে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে আছেন, সেটা জানানোর জন্য। আমি তখন স্কুলছাত্র। আমি তার ঘোষণা শুনে বাড়ির মাঝখানে দাঁড়িয়ে কাগজের একটা চুঙ্গা বানিয়ে মুখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলাম। আমিও তো তাহলে একজন ঘোষক। জিয়া যদি স্বাধীনতার ঘোষক হয়, আমি কেন হবো না?

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, কথায় কথায় শুধু বলা হয়, আমরা ভারতকে শুধু দিয়ে গেছি। যারা এসব কথা বলেন, তারা হিসাব দেন আমরা কী দিয়েছি। আমরা ভারতকে দেইনি, বরং নিয়েছি। দহগ্রাম-অঙ্গরপোতা ছিটমহল ইস্যুতে ভারত পেয়েছে ৭ হাজার একর জায়গা, আমরা পেয়েছি ১৭ হাজার একর জায়গা। সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের বিরোধ ছিল। ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার নিয়ে এ বিরোধে আমরা পেলাম ১৯ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার, আর তারা পেল ৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার। বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের খরচ হয় ৭ টাকার বেশি। অথচ আমরা কিনি সাড়ে ৫ টাকা দিয়ে। তাহলে আমরা নিলাম নাকি দিলাম? এছাড়া ভারতের সঙ্গে আমাদের আর কী এমন কিছু হয়েছে? এখন কিছু হলেই স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা আমাদের সহযোগিতা করেছে, তাদের বিপক্ষে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে স্বাধীনতার ঘোষক পরিবর্তন করা, যুদ্ধাপরাধীদের দেশে নিয়ে আসা, ভারতবিরোধীতা করার মধ্য দিয়ে আমাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা যারা পেশাজীবী আছি, সবাই মিলে কাজ করলে আমাদের দেশের উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক দূর এগিয়েছি। ১৯৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে তিনি কাজ করছেন।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে গ্রামেও ট্রাফিক জ্যাম হবে। কারণ সবাই টাকার মালিক হবেন এবং গাড়ি কিনবেন, গাড়ির সংখ্যা বাড়বে। এটা একটা ভিন্ন চিন্তাধারা। গ্রামকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। আমাদের পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে।

এর আগে আলোচনায় আসা ‘গ্রামে বাড়ি করতে অনুমতি লাগবে’ ইস্যুকে তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গ্রামে কত মানুষের জন্য কতটুকু রাস্তা দরকার, এটা চিন্তা করতে হবে। আর যার টাকা হয়েছে, সে গিয়ে যেখানে সেখানে মাঠের মাঝখানে একটা বাড়ি বানাবেন, এটা থেকে সরে আসতে হবে। আমি যখন এটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলাম, যখন আমি কথা বলতে গেলাম, গ্রামে যে কোনো অবকাঠামো করতে হলে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। তখন অনেকেই অনেক কথা বললেন৷ অনেকেই আমার সমালোচনা করলেন। অথচ সরকারের তো সেখানে প্রতিষ্ঠান বলতেই ইউনিয়ন পরিষদ। আমি ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া এর বাইরে কাকে বলব!

মন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ যদি মানুষকে হয়রানি করে, তাহলে আপনারা আমাদের জানাবেন। সরকার তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে। তাই বলে তো আমরা প্রক্রিয়াকে বাদ দিতে পারবো না।

নবচিন্তা প্রকাশনীর পরিচালক মো. শামসুল আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজি (অর্থ ও উন্নয়ন) এস এম রুহুল আমিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম, শল্য চিকিৎসক ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু।

Facebook Comments
০ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি