কাদিসের সামনে আরও একবার নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ হলো বার্সেলোনা। তাদের মাঠ থেকে অসাধারণ জয় নিয়ে ফিরল সফরকারীরা। লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের ১৬ নম্বর দলের সঙ্গে হেরে গেলেও এখনও দ্বিতীয় অবস্থানে জাভি হার্নান্দেজের দল।
সোমবার রাতে ক্যাম্প ন্যুতে ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে কাদিস। একমাত্র গোলটি করেন লুকাস পেরেস।
এই হারে লিগে ১৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভেঙে গেল বার্সার। ঘরের মাঠে এটা তাদের টানা দ্বিতীয় হারা। ঠিক এর আগের ম্যাচে ফ্রাঙ্কফোর্টের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরে যায় তারা।
ম্যাচের প্রথমার্ধে সেভাবে আক্রমণই করতে পারেনি বার্সা। কেবল একটি শট লক্ষ্যে রাখে, পুরো ম্যাচে ছয়টি শট লক্ষ্যে রাখতে পারলেও পায়নি গোলের দেখা। তাতে অবশ্য বড় কৃতিত্ব কাদিসের গোলরক্ষকের।
শুরু থেকে যদিও বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। কিন্তু ২৭তম মিনিটেই গোল খেতে বসেছিল ক্লাবটি। সতীর্থের পাস ফাঁকায় পেয়ে বাইরে মারেন পেরেজ, তাতে এগিয়ে যাওয়া হয়নি কাদিসের।
৩৯তম মিনিটে দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বক্সের ভেতর থেকে শট নেন ওসমান দেম্বেলে, কিন্তু সেটা ঠেকিয়ে দেন কাদিস গোলরক্ষক। প্রথমার্ধে বার্সেলোনার এই শটটিই ছিল লক্ষ্যে।
দ্বিতীয়ার্ধের ফিরেই স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। ৪৮তম মিনিটে সালভির ক্রসে কাছ থেকে রুবেন সবরিনোর হেড পাঞ্চ করে ঠেকান টের স্টেগান। তার ফিরতি শটও কোনোরকমে বাঁচান বার্সা গোলরক্ষক। কিন্তু বল খুব একটা দূরে সরাতে পারেননি, মাটিতে ড্রপ খাওয়ার আগেই জালে পাঠান পেরেজ।
৭৮তম মিনিটে বদলি হিসেবে খেলতে নামা লুক ডি ইয়ংয়ের দারুণ হেড ঠেকিয়ে দেন জেরামাইস লেডারমানা। একটু পর ব্যবধান বাড়ানোর আরেকটি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় সফরকারীরা। ডি-বক্সের ভেতর থেকে সবরিনোর শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান টের স্টেগেন।
নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে এমরিক অবামেয়াংয়ের ভলি ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন কাদিস গোলরক্ষক।
হারলেও এখন দুই নম্বরে বার্সেলোনা, ৩১ ম্যাচ থেকে তাদের পয়েন্ট ৬০। ৩২ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ।
৩২ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ নম্বরে কাদিস।