জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘আমরা কখনই নেতিবাচক রাজনীতি করিনি। এখনও করছি না। বর্তমানে আমরা দেশের প্রধান বিরোধী দল। আমরা সব সময়ই দেশ ও জাতির স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছি।’
শনিবার (২৩ এপ্রিল) কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে জিএম কাদের এ কথা বলেন।
জাপা চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, তার দল দেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বদ্ধপরিকর। তাই গণতন্ত্রের নির্বাচনি ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও মসৃণ করতে সব সময় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য যেন দেশের প্রতিটি নাগরিক উপভোগ করতে পারে। সেই লক্ষ্যেই আমরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছি।’
কাদের বলেন, ‘মানবিক কারণে বিশ্বের বিবেকের কাছে আবেদন জানাই, রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যেতে দিন। তাদের মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে পুনর্বাসনের অনুমতি দেওয়ার জন্য বিশ্বের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম টোসার, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরমি ব্রুয়ার, যুক্তরাজ্যের ডিফেন্স অ্যাটাশে লে. কর্নেল হিলটন, ভারতের ডিফেন্স অ্যাটাশে আতুল আম্বোহোত্রি, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবা লারবি, নেপালের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কুমার রায়, পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার কামার খোতকার, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ও কানাডার প্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকটি দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধি অংশ নেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক, গণফোরাম একাংশের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, এবি পার্টির তাজুল ইসলামও এতে অংশ নেন।
জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে ছিলেন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার প্রমুখ।