1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন

মধু সংকটে সুন্দরবনের মৌয়ালরা

মেহেদি হাসান নয়ন বাগেরহাট প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
  • আপডেট : রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২

মেহেদি হাসান নয়ন বাগেরহাট প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ সুন্দরবনে চলতি মধু আহরন মৌসুমে মধু পাচ্ছে না মৌয়ালরা। মধু না পেয়ে অনেকটা শুন্য হাতে বাড়ি ফিরছেন তারা। এমন অবস্থায় আর্থিক ক্ষতিরমুখে পড়ে সুন্দরবনে মধু আহরনে আগ্রহ হারাচ্ছেন মৌয়ালরা। তবে বনবিভাগ বলছে অনাবৃষ্টি ও সঠিক সময়ে বনের গাছ-গাছালিতে ফুল না ফোটার এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৫ মার্চ থেকে সুন্দরবনে শুরু হওয়া মধু আহরন মৌসুম চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। চলতি মধু আহরণ মৌসুমে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ থেকে ১০৫০ কুইন্টাল মধু এবং ৩৫০ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্য নিয়ে নির্ধারন করেছে বন বিভাগ। এবছর মধু ও মোম থেকে ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হবে বলে আশা করছে সুন্দরবন বিভাগ।বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ জানায়, গত ১৫ মার্চ থেকে এবছর মধু আহরন মৌসুম শুরু হলেও পূর্ব সুন্দরবন বিভাগে খলশী গাছের আধিক্য না থাকায় ১৫ দিন পর পাস নিয়ে গত ১ এপ্রিল বাগেরহাটের ১২৭টি দলের মৌয়ালরা বনে মধু সংগ্রহ করতে যায়। এরমধ্যে কাংখিত মধু না পেয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই সুন্দরবনের শরণখোলা, চাঁদপাই, ঢাংমারী ও জিউধরা স্টেশনে ফিরে এসেছে প্রায় অর্ধশত মৌয়াল।মৌয়ালরা জানায়, মধু আহরনে সুন্দরবন বিভাগের দ্বিগুণ রাজস্ব নির্ধারনসহ নৌকা ভাড়া, খাবারের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় ও সব মিলিয়ে প্রতিটি দলের একজন সদস্যের খরচ হয়েছে প্রায় ১২ হাজার টাকা। কিন্তু মধু না পেয়ে প্রথম চালানেই লোকসানে পড়েছেন মৌয়ালরা।বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এবছর প্রথম গোনে (১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল) শরণখোলা স্টেশন থেকে ৭৬টি দলকে মধু আহরণের পারমিট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি দল তাদের পাস জমা দিয়েছে। কিছু কিছু দল ফিরে এলেও অনেকেই বনে রয়েছেন।সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, পূর্ব সুন্দরবনে এবছর ১০৫০ কুইন্টাল মধু এবং ৩৫০ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্য নিয়ে শরণখোলা, চাঁদপাই, ঢাংমারী ও জিউধরা স্টেশন থেকে ১২৭টি পাস (পারমিট) দেওয়া হয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত মধু আহরণ চলবে। প্রথম চালানে মধু কম হলেও মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কম বা বেশির হিসাব এখনই নির্ধারণ করা যাবে না।বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হেসেন বলেন, গত দুই বছর ধরে মধু আহরন মৌসুমের সময় সুন্দরবন অঞ্চলে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে না। একারনে বনের গাছ গাছালিতে ফুল আসলেও তা শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে। ফলে মৌমাছি ও কীটপতঙ্গের খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়। তাই মধু না পেয়ে মৌমাছিও আসে না। গতবছরও প্রথম দিকে এমন পরিস্থিতি হয়েছিল। কিন্তু শেষের দিকে বৃষ্টি হওয়াতে ভালোই মধু পাওয়া গেছে। সামনে বৃষ্টিপাত হলে বনে ফুল এবং মধু পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তারা।

Facebook Comments
৪ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি