আমার মনে হয় দলের কেউ একজনের আমি পছন্দের না, না হলে তো আর কিছু তো মনে হয় না- আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজের দল থেকে বাদ পড়ে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছিলেন আবু জায়েদ রাহী। যেখানে স্পষ্ট ছিল লবিংয়ের ইঙ্গিত। যে কারণে বিসিবির কাঠগড়ায়ও দাঁড়াতে হতে পারে এ ডানহাতি পেসারকে।
দেশের ক্রিকেটে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পাশাপাশি বর্তমানে রাহীর এই মন্তব্যই আলোচনার মূল বিষয়। যা উঠে এলো মাশরাফি বিন মর্তুজার সংবাদ সম্মেলনেও। বৃহস্পতিবার প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে এমন প্রশ্ন পেয়ে প্রথমে এড়িয়েই যেতে চাইলেন মাশরাফি।
তবে সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে পুরো বিষয়টি শুনে নিয়ে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের এ অধিনায়ক জানিয়েছেন, ২০২২ সালে এসে জাতীয় দলে লবিংয়ের কোনো সুযোগ নেই। যারা যেখানেই খেলুক না কেন, পারফর্ম করেই খেলতে হবে এবং নিজের আচরণেও হতে হবে পেশাদার।
মাশরাফি বলেছেন, ‘জাতীয় দলে লবিংয়ের কোনো সুযোগ নেই। এখানে পারফর্ম করলে খেলবেন, পারফর্ম না করলে খেলবেন না। আপনাকে এখানে শতভাগ পেশাদার হতে হবে। আপনাকে পারফর্ম করতে হবে। সবার জীবনেই খারাপ সময় আসে, যেটা রাহীর যাচ্ছে। এতো আলোচনা না করে আমি আশাবাদী, সে (ফেরার) উপায় খুঁজে বের করবে।’
শ্রীলঙ্কা সিরিজের দল থেকে রাহীকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে গতির কথা উল্লেখ করেছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। এ বিষয়ে মাশরাফি যোগ করলেন তার নিজের মূল্যায়ন। তার মতে, পেস বোলাররা সবাই এখন ভালো করতে থাকায় দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেশি।
বাংলাদেশের সফলতম এ অধিনায়ক বলেছেন, ‘অবশ্যই রাহী ভালো বোলার। তার একটা জিনিস ভালো লাগে, সে কখনও হাল ছাড়েনি। এখন তাসকিন, এবাদত ভালো বোলিং করছে। যেটা হয় আর কী, রুবেল (হোসেন) কিন্তু নিউজিল্যান্ডে খুব ভালো বোলিং করে এসেছে, সর্বশেষ সে বাংলাদেশের হয়ে যে ওয়ানডে খেলে এসেছে। ঐ বোলিংয়ের পর রুবেলকে বাদ দেওয়ার সুযোগই নেই।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কিন্তু ওর (রুবেল) চেয়ে বেটার বোলিং করছে অন্যরা। এ কারণেই এটা হয়েছে। এটা একটা খেলোয়াড়ের জন্য হতাশার। তবে বাংলাদেশ দলে এখন ফাস্ট বোলিংয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বিশেষ করে সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে মারাত্মক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এখন টেস্টে তাসকিন, এবাদত ভালো খেলছে। শরীফুল সব ফরম্যাটে ভালো বোলিং করছে। এখন বাইরে নিজেকে উন্মোচন না করে মাঠে উন্মোচন করা উচিত।’