মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় মাটির রাস্তা এইচবিবি করণে নিম্নমানের ইট ব্যবহার ও রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইট মজুদ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি।
শুক্রবার (২৯এপ্রিল-২২) সকাল ১০ টায় গাংনী উপজেলার বামন্দি ইউনিয়নের তেরাইল কুঠিপাড়া রাস্তায় এ মানববন্ধন করেন এলাকাবাসীরা।
জানা গেছে, ত্রান ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয়ের অধিনে তেরাইল কুঠিপাড়া থেকে মাঠের রাস্তা ও ভাটপাড়া কুঠির রাস্তা ১ কি:মি: এইচবিবি করণ করা হবে। এ প্রকল্পে ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ৬০ লাখ টাকা। সম্প্রতি লটারির মাধ্যমে মেসার্স নুর ইসলাম এন্টারপ্রাইজ কার্যাদেশ পায়।
তেরাইল কুঠিপাড়া রাস্তা সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মেসার্স নুর ইসলাম এন্টারপ্রাইজ কার্যাদেশ পাওয়ার পর এইচবিবি (হেয়ারিং বন্ড) করনের জন্য রাস্তার দুইপাশে ১ নং ইটের পরিবর্তে ৩ নম্বর ইট প্রস্তুুত করে রেখেছে। এ কারনে এলাকাবাসি ক্ষুদ্ধ হয়ে মানববন্ধন করেছে।
মহাব্বতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, যে দিন নিম্নমানের ইট আনা হয়েছে সেদিন নিষেধ করা হলেও ঠিকাদার কর্নপাত করেনি।
একই গ্রামের ইদ্রীস আলী বলেন, দীর্ঘ দিন পর এলাকার কৃষদের দূর্ভোগ লাঘবে এমপি সাহিদুজ্জামান খোকনের প্রচেষ্টায় রাস্তাটি টেন্ডার হয়। কিন্তু ৩নং আমা/পঁচা ইট দিয়ে রাস্তা তৈরির পায়তারা করছে ঠিকাদার। দ্রত সময়ের নিম্নমানের ইট সরিয়ে নিয়ে সিডিউল মোতাবেক কাজ করার দাবি করে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসি।
বিল্লাল হোসেন বলেন, সরকার ১নং দিয়ে রাস্তা করার কথা বললেও ঠিকাদার ৩নং সহ ভাঙ্গাচোরা আমা ইট এনেছে। প্রতিবাদ করলে হয়রানি করবে এই কারনে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।
কৃষক মজনু বলেন, এইরাস্তা দিয়ে কৃষকের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে কষ্ট হতো। অনেক কষ্টের পর রাস্তা নির্মানের প্রস্তুুতি শুরু হয়েছে। নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা করলে পূর্বের মত অবস্থার সৃষ্টি হবে। তাই কৃষকের দু:খ কষ্ট লাঘবে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে এমনটাই দাবি তাদের।
মেসার্স নুর ইসলাম এন্টারপ্রাইজ মালিক নুর ইসলাম বলেন, রাস্তা এইচবিবি (হেয়ারিং বন্ড) করার জন্য ভালো মানের ইট মজুদ করা হয়েছে। যা কর্মকর্তারা দেখেছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, নিম্নমানের ইটদিয়ে রাস্তা করলে স্থানীয় জনগন বন্ধ করে দিক।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন, কোন ভাবেই নিম্নমাসের ইট সহ উপকরন ব্যবহার করতে দেয়া হবেনা। নিম্নমানের কাজ করে সরকারের অর্থ তসরুপাত করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি খানম বলেন, নিম্নমানের ইটদিয়ে কাজ করলেও বিল দেয়া হবেনা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আতিকুল হক বলেন, কোন ভাবেই অনিয়ম বরদাস করা হবেনা। এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য : ঠিকাদার নুর ইসলামের বিরুদ্ধে গত বছর জাল ষ্ট্যাম্প বিক্রি সহ নানা অভিযোগ তুলে গাংনী সাবরেজিষ্টি অফিসে কাজ বন্ধ করে দেয় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেকসহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।