যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতির হার ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ৩০ বছরের মধ্যে তা এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের পূর্বাভাস, মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশে উঠতে পারে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে যুক্তরাজ্যের অনেক মানুষ এখন হিমায়িত খাদ্যের দিকে ঝুঁকছেন। কারণ, খাবার রান্না করতে গেলে তো আবার গ্যাস বা বিদ্যুতের বিল বেড়ে যাবে।
জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৫৭ শতাংশ মানুষ বলেছেন, গত তিন মাসে খাদ্যের সংস্থান করতে গিয়ে তাঁদের হিমশিম খেতে হয়েছে। ১৪ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা নিজেরা বা পরিবারের কেউ না কেউ গত মাসে খাবারের পদ কমিয়েছেন বা এক বেলা উপোস থেকেছেন। অথচ জানুয়ারি মাসে এমন কথা বলেছিলেন ৮ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ।
ফুড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আনা টেইলর বিবিসিকে বলেছেন, বিষয়টি এখন আর নিছক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না, বরং তা ক্রমশ স্বাস্থ্যসংকটে পরিণত হচ্ছে। ফলে এখন শুধু খাদ্যব্যাংক দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে না।
এই পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের এক সরকারি মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি, মানুষের জীবনযাত্রায় কী পরিমাণ চাপ পড়ছে। এ অবস্থায় আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যা করার, তা করছি। সরকার মানুষের বিদ্যুৎ ও গাড়ির জ্বালানির মূল্য পরিশোধে সহায়তা করার জন্য ২ হাজার ২০০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করছি। এ ছাড়া সর্বজনীন ঋণের আওতায় পূর্ণকালীন কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি বার্ষিক অন্তত ১ হাজার পাউন্ড বৃদ্ধি করেছি। সঙ্গে আছে আমাদের হাউসহোল্ড সাপোর্ট ফান্ড। এই তহবিল থেকে আমরা মানুষকে দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে সহায়তা করছি।’এপ্রিলের ২২ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ১০ হাজার ৬৭৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।