দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুর বিরলে নর্থ বেঙ্গল এগ্রো এর টাইগার ৩৫৫৫ ভূট্টার বীজে একই গাছে দু’টি মোচা’সহ উৎপাদনে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। সুদূর ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দ্রাবাদ হতে নতুন জাতের ন্যাচারাল সীডস কোম্পানীর এ ভূট্টা আমদানী করে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করেছে নর্থ বেঙ্গল এগ্রো-বাংলাদেশ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ ভূট্টার আবাদকারী কৃষকরা নতুন শ্লোগান তুলেছেন একই গাছে দু’টি মোচা- বাম্পার ফলনে এক মোচার অন্যান্য ভূট্টায় লেগেছে খোঁচা।নর্থ বেঙ্গল এগ্রো-বাংলাদেশ এর কর্মকর্তা মোঃ জুয়েল ইসলাম জানান, প্রায় ১০ মে.টন ভূট্টা বীজ আমদানী করে বিরল উপজেলা’সহ পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর,ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা হয়। নতুন জাতের টাইগার ৩৫৫৫ ভূট্টার একই গাছে দু’টি মোচা’সহ এর ফসলে রোগবালাই একেবারে নেই বললে চলে। তাই ফলন অনেক বেশী হয়। এ অঞ্চলে কাল বৈশাখী ঝড়ে ভূট্টা ক্ষেত নষ্ট হয়ে যেতো। নতুন এ জাতের ভূট্টা আগাম চাষ হওয়ায় এর ফলন অনেক বেশী। বৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে এ জাতের কোথাও কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।উপজেলার ১০নং রাণীপুকুর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রহিম জানান, তিনি ৮ বিঘা জমিতে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে টাইগার ৩৫৫৫ জাতের ভূট্টা চাষ করেন। নর্থ বেঙ্গল এগ্রো এর মাঠকর্মীগণ সার্বক্ষণিক তদারকি ও পরামর্শ প্রদান করায় রোগবালাই ছাড়াই বিঘা প্রতি সাড়ে ৮৮ মন ভূট্টা উৎপাদন হয়েছে। যা বিক্রি করে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকা হাতে পেয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, যতগুলো ক্রপ রয়েছে তার মধ্যে ভুট্টা হচ্ছে সি ফর ক্রপ। ভুট্টা যখন তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, তখন কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়তে থাকে। তারপরও ফলন বাড়তে থাকে। এটি একটি এ্যামাজিং ক্রপ! পানির যখন স্বল্পতা থাকে তখন ভুট্টা গাছের শিকড় মাটির দিকে বাড়তে থাকে। আড়াই মিটার পর্যন্ত তার শিকড় নীচের দিকে চলে যায়, শুধুমাত্র পানি তোলার জন্য। যখন ভুট্টা মাড়াই মৌসুম আসে তখন দেখা যায় মাথার দিকে কিছুটা কমবেশি ছাড়া প্রত্যেকটি ইউনিফর্ম আছে।আগামীতে তিনিসহ আশপাশের কৃষকগণ একটি গাছে দুই মোচার এ ভূট্টা চাষাবাদে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, বাবা চাচা সবাই কয়-টাইগার ৩৫৫৫ ভূট্টা আসলেই ফলন ভালো হয়।
১০১ views