নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হয়রানি, মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অভিযুক্ত নারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।সোমবার (৩০ মে) ভোররাত ৩টার দিকে নরসিংদীর শিবপুর এলাকা থেকে শিলা আক্তার ওরফে সায়মা নামের ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বয়স ৫৫ থেকে ৬০ এর মধ্যে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১১ এর নরসিংদীর ক্যাম্পের কমান্ডার তৌহিদুল মবিন।গ্রেপ্তারকৃত নারী নরসিংদী সদরের উপজেলা মোড় এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় তিনি একজন ঘটক।কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান জানান, অভিযুক্ত ওই নারীকে শিবপুরের ইটাখোলা এলাকায় তার খালার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একেক জায়গায় একেক নাম-পরিচয় ব্যবহার করতেন; শায়লা নামেও তিনি পরিচিত। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএনএম ইমরান খান জানান, সম্প্রতি নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হয়রানি, মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।এ ঘটনায় নরসিংদীর শিবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিলাকে আটক করা হয়।এর আগে, গত ১৮ মে সকালে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত এক তরুণী ও তার দুই ছেলে বন্ধু হেনস্তার শিকার হন। স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মধ্যবয়সী এক নারী ওই তরুণীকে আধুনিক পোশাক পরায় আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে স্টেশনে অবস্থানরত কয়েকজন বখাটে যুবক এসে তরুণী ও তার দুই বন্ধুকে আবারও হেনস্তা করেন।উত্তেজিত জনতার হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে স্টেশন মাস্টারের ঘরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ওই তরুণী। পরে তিনি ঢাকাগামী ট্রেনে ওঠেন।ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। হয়রানির ঘটনায় ২১ মে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমায়েদুল জাহেদী বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০ জনের নামে ভৈরব থানায় মামলা করেন।আসামিরা হলেন নরসিংদীর নজরপুর ইউনিয়নের বুদিয়ামারা এলাকার মৃত বদল মিয়ার ছেলে মোঃ ইসমাইল (৩৮) এবং নরসিংদীর উপজেলা ক্রসিং এলাকার ফয়েজ আহমেদের স্ত্রী শিলা আক্তার।এরইমধ্যে ২০ মে রাতে রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হারুনুজ্জামান রুমেল জানান, ইসমাইলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।