মিন্টু মিয়া,রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
মেহেদুল হাসান ওরফে হাবিবুল্লাহ (১৫) নামের এক হাফিজিয়া মাদ্রসার ছাত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ঘটানাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার রৌমারী বাজার ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায়। সে চর রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী ক্যাম্পপাড়া গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেহেদুল হাসান ওরফে হাবিবুল্লাহ প্রতিদিনের ন্যায় কবরস্থানপাড়া মাইদুল ইসলাম এর বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে মাদ্রাসার নির্মাণাধীন ভবনের ভিতর দিয়ে আসা মাত্রই দুর্বৃত্তরা তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে সে চিৎকার করে বাঁচাও বাঁচাও বলে ওয়াশরুমের দিকে দৌড় দেয়। এসময় আল আমিন ও আব্দুর রহমানসহ কয়েকজন ছাত্র প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ওয়াশরুমে গেলে মেহেদুলের চিৎকার শুনে এগিয়ে যায় এবং ওই মাদ্রাসার দায়িত্বরত শিক্ষক ইব্রাহিমকে জানান। পরে মেহেদুল হাসানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এঘটনায় শিক্ষার্থী অভিভাবকের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, বিষয়টি গুরত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।