বয়সভিত্তিক থেকে জাতীয় পর্যায়, ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করেছেন তামিম ইকবাল। ওপেনার বা ব্যাটার হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে বেশিরভাগ রেকর্ডই তার দখলে। অথচ সেই তামিমের মাঝে মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে সম্ভাবনা দেখছেন জেমি সিডন্স। গেল শনিবারের (৪ জুন) একটি সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে বলেন, চারে ‘ফ্যান্টাস্টিক’ ব্যাটার হতে পারেন তামিম। পরদিনই এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন তামিম। মনে করিয়ে দেন, পুরো ক্যারিয়ারে ১৭ বছর ধরে উদ্বোধনী ব্যাটার হিসেবেই খেলেছেন তিনি।
তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে ৪২৫ ইনিংস খেলেছেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক। ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ২৫ সেঞ্চুরির সঙ্গে রয়েছে ৯০টি হাফ সেঞ্চুরি। যার সবগুলোই করেছেন ওপেনিংয়ে। এমন সাফল্য পাওয়া তামিম একবারই কেবল ওপেনিংয়ে জায়গা ছেড়েছিলেন।
সেটিও আজ থেকে প্রায় ৫ বছর আগে। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পচেফস্ট্রুম টেস্টে পাঁচে ব্যাটিং করেছিলেন তামিম। সেদিন পাঁচে নেমে বাঁহাতি এই ব্যাটার খেলেছিলেন ৩৯ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারে ১৫ বছর ওপেনিংয়ে খেলা তামিমকে মিডল অর্ডারে দেখার স্বপ্ন বুনেছিলেন সিডন্স। অপরদিকে উদ্বোধনী পজিশন ছাড়তে নারাজ তামিম।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রশ্নটা যে ব্যক্তি করেছে তার মাথায় কী চলছিল আমি জানি না। কোনও ধারণা নেই আমার। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি এটা একটা স্টুপিড প্রশ্ন। চার নম্বরে ব্যাটিং করার কোনও কারণ দেখি না। আমি ১৭ বছর ধরে ওপেন করে আসছি এবং আমি ভালো করছি।’
এর আগের দিন তামিমকে নিয়ে সিডন্সের প্রত্যাশা ছিল, মিডল অর্ডারে খেললেও ভালো করবেন এই বাঁহাতি। তবে এটি করতে গিয়ে যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে সেটাও বেশ ভালো করেই জানেন সিডন্স।
কেননা এতদিনেও তামিমের যোগ্য সঙ্গী খুঁজে পায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। এমন অবস্থায় ওপেনিং থেকে তাকে সরালে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করা কোনো ওপেনারকে খুঁজে বের করতে হবে বলে জানান তিনি। পারফর্ম করছে না এমন কাউকে ওপেনিংয়ে পাঠিয়ে তামিমকে চারে খেলাতে নারাজ ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান এই কোচ।
এ প্রসঙ্গে সিডন্স বলেছিলেন, ‘বেশির ভাগ দেশেই সিনিয়র ক্রিকেটাররা লম্বা সময় ওপেন করলে সুযোগটা পায় (একটু নিচে নামার)। একটু নিচে নামতে পারলে তামিমেরও ভালো লাগবে বলে ধারণা আমার। তবে আগে তো আরেকজন ওপেনার খুঁজে বের করতে হবে!’
‘ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করেনি বা ‘এ’ দলে কিংবা টাইগার্সে পারফর্ম করছে না, এমন কাউকে আমরা স্রেফ ওপরে ঠেলে দিতে পারি না। এটাই চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য। তামিমকে চারে নামাতে হলে আরেকজন ভালো ওপেনার লাগবে। আমার মতে, চার নম্বরে সে ‘ফ্যান্টাস্টিক’ হতে পারে।’