সবুজ ভদ্র (হাজীগঞ্জ):হাজীগঞ্জ পানিতে হতে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছেহাজীগঞ্জ পৌরসভায় ৯ নং ওয়ার্ড এনায়েতপুর জয়নাল ভূঁইয়া বাড়ি গৃহবধূ সুফিয়া বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবার সূত্রে জানাযায় দীর্ঘদিন ধরে সুফিয়া বেগমের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন।১৬ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় হাজিগঞ্জ পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ড এনায়েতপুর জয়নাল ভূঁইয়া বাড়ির জামাল হোসেনের ছেলে বাপ্পির স্ত্রী সুফিয়া বেগমের লাশ ভাসতে দেখে হাজীগঞ্জ থানায় খবর দেয়।হাজিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুফিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠায়।শশুর বাড়ির পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় সুফিয়া বেগম মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি পানিতে ডুবে মৃত্যু বরণ করেন।সুফিয়া বেগমের পরিবারের দাবি নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর মৃতদেহ বাড়ির পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়।এ ঘটনায় স্বামী বাপ্পিকে আটক করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।গৃহবধূর মামা মফিজুল ইসলাম জানান দীর্ঘদিন ধরে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে সুফিয়া বেগম।সাত বছর আগে বাপ্পির সাথে সুফিয়া বেগমের দাম্পত্য জীবন শুরু হয় তাদের দাম্পত্য জীবনে এক কন্যা সন্তান রয়েছে তার বয়স ৫ বছর। এ ঘটনায় একাধিকবার বিচার-সালিশ হয়েনছে এবং হাজিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল।স্থানীয় কাউন্সিলর আজাদ মজুমদারের কার্যালয়ে একাধিকবার গৃহবধূর সুফিয়া বেগমের নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিচার শালিসি হয়েছে।সুফিয়া বেগমের ভাই বলেন, আমার বোনকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেওয়া হয়, তার গলায় একটি আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। এর আগেও বহুবার আমার বোনকে যৌতুকের জন্য পাশবিক নির্যাতন চালায় তার স্বামী বাপ্পি। আমরা বোনের সুখ এর জন্য বাপ্পীকে টাকা দিয়ে অটোরিকশা কিনে দেয় সে অটোরিকশার বিক্রয় করে জুয়া খেলতো। সে একদিন কাজ করলে তিন দিন থেকে তো কোন কাজকর্ম ঠিকমত করতো না আর প্রায় সময় আমার বোনকে যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় আমরা হাজিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করবো।সুফিয়ার মামা মফিজুল ইসলাম আরও জানান আমার ভাগ্নি কে হত্যার পর পানিতে ফেলে একটি নাটক সাজানো হয়েছে এ ঘটনায় আমরা হত্যা মামলা দায়ের করবো।হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ বলেন, এনায়েতপুর গ্রামে পুকুরে মহিলার লাশ ভাসতে দেখে হাজিগড় থানায় খবর দেয় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুফিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বলা যাবে ইহা হত্যা না পানিতে পড়ে স্বভাবিক মৃত্যু ঘটেছে ।