নুরে আলম সিদ্দিকী সবুজ, সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জেনারেটর না থাকায় চালু হচ্ছেনা আপারেশন থিয়েটার।সবকিছু থাকলেও শুধু জেনারেটর না থাকার কারনে চালু হচ্ছে না অপারেশন থিয়েটার।আর অপারেশন সুবিধা না থাকায় প্রত্যাশিত স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে সাধারন জনগন। একটু ভালো আর বিনামূল্যে সরকারী স্বাস্থ্য সেবা পেতে উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে বড় আসা নিয়ে দরিদ্র রোগীরা হাসপাতালে আসে। কিন্তু এখানে এসেই তাদের পড়তে হয় বিপাকে বাধ্য হয়েই যেতে হয় ক্লিনিক গুলোতে। শুধু তাই নয় হাসপাতালের প্রবেশ গেট থেকে শুরু করে কেবিন বেড পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এক শ্রেণির দালাল চক্র। তারা নানা প্রলোভন যেমন দ্রুত ভাল মানের ডাক্তার সেবা পাইয়ে দেয়া প্রয়োজনীয় ঔষধ পাওয়া ভালো মানের কেবিন ইত্যাদি দেখিয়ে দরিদ্র ও সহজ সরল রোগীদের কাজ থেকে টাকা হাতিয়ে সর্ব শান্ত করে ছাড়ে। এব্যাপারে হাসপাতালের অপারেশন বিভাগের ইনচার্জ সিনিয়র নার্স জানান ২০১৪ সাল থেকে অপারশন কার্যক্রম বন্ধ আছে। এখন মোটা মোটি সবই রেডি তবে তিনটা জিনিষ হলেই চালু হয়ে যাবে। এবিষয়ে নিম্ন আয়ের এক দিন মজুরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমরা দিন মুজুরী দিয়ে খাই আমাদের পক্ষে ১০/১২ হাজার টাকা খরজ করে অপারেশন করার মত সামর্থ নাই। জীবন বাচার তাগিদে কিস্তি অথবা সুদের উপর টাকা নিয়ে অপারেশন করতে হয়। এতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। সরকারী হাসপাতালে যদি অপারেশনের ব্যবস্থা থাকতো আমার মত অনেকের সুবিধা হত। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক পৌর এলাকার এক সচেতন নাগরিক বলেন, চার পাশে বে-সরকারী ভাবে বেঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ক্লিনিক তাদের ইঙ্গিতে কর্মকর্তাদে সাথে নিয়াজু আছে যার কারনে সরকারী হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার চালুর এত বিরম্বনা। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তার তাদের কর্মক্ষেত্রের চেয়ে নিজের ব্যাক্তিগত চেম্বারকে প্রাধান্য দেন। সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এহিয়া কামাল জানান, আমি এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকে অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন সমস্যা যেমন জনবল এ্যানেসথেটিক্স কনসালটেন্ট (অজ্ঞান ডাক্তার) গাইনি ডাক্তার না থাকার কারনে অপারেশন বন্ধ রয়েছে। আমি আসার পর বগুড়া-১আসনের সংসদ সদস্য জনাব সাহাদারা মান্নান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় সব কিছুই রেডি। ইতি মধ্যে অপারেশন রুমের এসি ছিলনা এমপি মহোদয় নিজ অর্থায়নে এসি দিয়েছে। বাকী আছে জেনারেটর। তবে বর্তমানে জেনারেটর থাকলে অপারেশন কার্যক্রম চালু করা সম্ভব। জেনারেটরের বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে, খুব শিঘ্রই ব্যবস্থা হয়ে যাবে।