এসময় তিনি বলেছেন মাদক একটি মরণব্যাধি নেশা, তোমরা শিক্ষার্থীরা দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
দেশে যে সকল মেধাবী শিক্ষার্থীর আছে তারাই দেশের ভবিষ্যৎ।আমাদের কাজ হচ্ছে তাদের কাছে যাও তাদেরকে মাদকের ক্ষতিকর বিষয় গুলো তুলে ধরা। তোমরা শিক্ষার্থী আছো, এবং সচেতন থাকো তাহলে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।মাদক হচ্ছে সে সকল দ্রব্য, সেটা প্রাকৃতিক হতে পারে অথবা কেমিক্যাল দিয়ে প্রস্তুত হতে পারে। মাদক যদি কেউ শরীরে নেয় বা, সেটার উপর তার আশক্তি তৈরি এবং তার সাথে সাথে তার মস্তিষ্কের অকার্যক্ষমতা বিকাশ ঘটবে। তিনি আরো বলেন, সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সেরা জীব হিসেবে এই জমিনে পাঠিয়েছে। আমাদের বিবেক বুদ্ধি আছে। আমাদের বিবেক বুদ্ধিকে যদি আমরা ভালো পথে চালাতে পারি তাহলে আমরা সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকতে পারবো। কিন্তু মাঝে মাঝে আমরা পা পীছলে যাই। সেটা হতে পারে বন্ধুদের কারণে বা হতাশার কারনে । আবার নানা রকম পারিবারিক চাপেও হতে পারে। সে রকম সময়ে আমরা পা পিছলে যাই। হয়তো আমাদের কোন বন্ধু বান্ধব বলল, আজকে এটা নাও তোমার সব হতাশা ও সব দুঃখ দূর হয়ে যাবে। তুমি খুব ভালো থাকবে। কিন্তু একদিন এই মাদক নেওয়ার ফলে সারা জীবনের জন্য সে ধ্বংস হয়ে গেল।কলেজের ক্রীড়ায় শিক্ষক বেলায়েত হোসেনে এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া অফিসার মোঃ তারিকুল ইসলাম, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক, পিয়ার হোসেন, কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মাহাব্বু আলম, কৃষি বিভাগের প্রভাষক, মোঃ মকবুল হোসেন, ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।অনুষ্ঠানে মুন্সিরহাট কলেজের সকল শিক্ষক শিক্ষার্থী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।পরে উপস্থিত তিন শতাধিক শিক্ষার্থীদের হাতে চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ একটি করে জ্যামিতি বক্স ও স্কেল দেয়া হয়েছে।পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সচেতনতা মূলক আলোচনা সভার কার্য শুরু হয়। কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম আক্তার।