বিল্লাল হোসেন সোহাগ, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সিএ পরিচয় দানকারী অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মনিরুজ্জামান মিলনের বিরুদ্ধে বিজয় টিভির নকলা প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক ইউসুফ আলী মন্ডলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে।১৯ জুন রবিবার বিকেলে মিলনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ তদন্তে গেলে ইউএনও’র কার্যালয়ে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। মারধরে আহত সাংবাদিক ইউসুফ বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে সাংবাদিক ইউসুফকে মারধরের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে মনিরুজ্জামান মিলনকে শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন শেরপুর প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন ও রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ।জানা গেছে যে, সকালে স্থানীয় এলাকাবাসী ইউএনও’র কার্যালয়ের অফিস সহকারী মনিরুজ্জামান মিলনের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের কপি পাওয়ার পর বিকেল তিনটার দিকে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও অভিযুক্ত মিলনের মতামত আনতে ইউএনও’র কার্যালয়ে যান সাংবাদিক ইউসুফ আলী মন্ডল। এতে মনিরুজ্জামান মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে সাংবাদিক ইউসুফকে গালিগালাজ করেন। এ নিয়ে বাক-বিতন্ডা বাঁধলে একপর্যায়ে ইউসুফের ওপর চড়াও হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ফেলে দিয়ে চেপে ধরে উপর্যুপরি কিলঘুষি ও মারধর শুরু করেন। পরে চিৎকার-চেচামেচিতে অন্যরা ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।এদিকে সংবাদ পেয়ে নকলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম লাভলু ও সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানাসহ স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক দ্রুত ইউএনও’র কার্যালয়ে গিয়ে ইউসুফ আলী মন্ডলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।এ বিষয়ে অফিস সহকারী মনিরুজ্জামান মিলন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে সাংবাদিক ইউসুফ মন্ডল তার পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাকে উত্যক্ত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষোদগার করে আসছিলেন।অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, মনিরুজ্জাান মিলন প্রায় চার বছর ধরে একই স্টেশনে কর্মরত থেকে নিজেকে ইউএনও’র সিএ দাবী করেন। বিভিন্ন সময় নানা অনিয়মে জড়িত থেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন। ইউএনও’র সিএ থাকা সত্বেও অজ্ঞাত খুঁটির জোরে নিজে সিএ’র দায়িত্ব পালন করে প্রকৃত সিএ কে কোণঠাসা করে রেখেছেন। মিলন নকলা অফিস পাড়ায় প্রভাবশালী হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটিয়ে চলেছেন। এমতাবস্থায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তসাপেক্ষে শাস্তিমূলক বদলীসহ বিভাগীয় ব্যবস্থার দাবী ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর।তবে এসব বিষয়ে মতামত নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।