মোঃমুক্তাদির হোসেন, গাজীপুর, কালীগঞ্জ,উপজেলা প্রতিনিধি।ক্ষুদ্র লৌহজাত শিল্পের উপর নির্ভরশীল কালীগঞ্জের পেশাদার কামাররা। বছর ঘুরে পবিত্র ঈদুল আযহা এলেই লোহার নানা জিনিস তৈরির টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে ওঠে ব্যস্ত কামাররা। ঈদকে সামনে রেখে কুরবানির পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম তৈরিতে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।সরেজমিন দেখা যায়, কামারের দোকানগুলোতে কেউ আসছেন পুরোনো ছুরি, কাঁচিতে শান দিতে। কেউ আসছেন নতুন কাজের অর্ডার নিয়ে। ঈদ সামনে রেখে পশু কোরবানির বড় ছুরি, ছোট ছুরি, চাপাতি, বটির চাহিদা বাড়ছে। তাদের দোকানে টুং টাং শব্দ করে তৈরি হচ্ছে একেকটি ধারালো উপকরণ। কালীগঞ্জ বাজারে শ্রীদাম কর্মকার কাজের ফাঁকেই বলেন, ৩৬ বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে রয়েছেন তিনি। সারা বছর তেমন কাজের চাপ না থাকলেও বছরে কোরবানি ঈদে কাজের ব্যস্ততা দু’গুণ বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম বেশি হওয়ায় লাভ খুব কম হচ্ছে বলে তিনি জানান,আওড়াখালী বাজার এর কামার শ্যমল কর্মকার বলেন বর্ন্যার কারনে এ বছর কাজ কম,ক্রেতার ভিড় কম, লৌহার দাম বেশি থাকার করনে আমার কাজের চাপ কম,গত বছর করোনা কালীন সময়ে ও একটু জিরানোর সময় পাই নি, রাত্র বারোটা থেকে একটা পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে,।
অপরদিকে বক্তারপুর কামার পল্লীর কর্মকার মনু কর্মকার বলেন বাপ দাদার আমলের এই পেশা আমি পর্যন্তই শেষ আমার ছেলেরা এই কর্ম করে চলতে পারবেনা, হারিয়ে যাবে, সরকার সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে সহোযোগিতা না করলে আমাদের বাপ দাদার এই পেশা থেকে অনেকে সরে দারাবে।
কালীগঞ্জ বাজারের প্রিয়াংকা সান ঘর এর মালিক, মোঃ বিল্লাল শেখ জানান এবছর আমার দোকানে অন্য বছরের তুলনায় অনেক কম,মানুষের অর্থ নৈতিক অবস্থা ভালো না,সারা দেশে কিছু কিছু জেলায় বন্যার কবলিত হয়ে পড়ার দরুনে মাুনষ এবছে অনেকে কোরবানি দিতে পারবেন না, এখনো ঈদের পাঁচ দিন বাকি আছে, দেখি,আল্লাহ উপর ভরসা রাখি।
ক্রেতা আসাদুজ্জামান বলেন, কোরবানির গরুর মাংস কাটার জন্য নতুন চাপাতি কিনতে এসেছি। তৈরি করা তেমন ভালো চাপাতি পাচ্ছি না। তাই এক কেজি ওজনের ইস্পাত কিনে নতুন চাপাতি বানাতে দিলাম। আমার এলাকা দক্ষিণ সোমবাজার এ কামার বসে না তাই কালীগঞ্জ বাজারে এসেছি, এবছর চাপাতির দাম অনেক বেশি মনে হচ্ছে।