দেশের চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করার মতো কেন্দ্র থাকার পরও জ্বালানির অভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ১০ শতাংশের বেশি ফারাকে প্রায় হারিয়ে যাওয়া লোড শেডিং আবার এসেছে ফিরে।গ্যাস আমদানি করতে গিয়ে বিপুল অঙ্কের ভর্তুকি দিতে দিতে সরকার হাঁপিয়ে উঠার পর সেখান থেকে সরে আসার উদ্যোগ নিতেই লাগল এ ঝঞ্ঝাট।ভর্তুকি কমাতে হলে জ্বালানি আমদানির রাশ টানতে হবে। আর তাতে সরাসরি প্রভাব পড়ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। আর বিদ্যুৎ সরবরাহ কমলে কমবে শিল্পোৎপাদন।এই উভয় সঙ্কটের মধ্যে আবার ভর্তুকি দিয়ে উৎপাদন ধরে রাখতে গেলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই। বর্তমানের চেয়ে দাম বাড়লে চড়তে থাকা মূল্যস্ফীতির পারদ আরও চড়বে। তাতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে অর্থনীতিতে চাপ আরও বাড়বে।সব মিলিয়ে এক জটিল পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে সরকারকে। আপাতত তিন মাস ‘কষ্টকর’ পরিস্থিতি সামলে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো পুরোদমে চালু এবং আমদানির বিদ্যুৎ এলে আবার সহনীয় পরিস্থিতিতে যাওয়ার আশায় রয়েছে সরকার।তাই আপাতত বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থান বিদ্যুৎহীন রেখে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কোথায় কত সময় বিদ্যুৎ থাকবে না, তা নির্ধারণ করার জন্য কাজ চলছে। চিন্তা হচ্ছে, লকডাউনের সময়ের মতো হোম অফিস চালু এবং অফিসের কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনা যায় কি না?ইতোমধ্যে আলোকসজ্জা নিষিদ্ধ করা ও বিয়েশাদীসহ সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সম্পন্ন করা, এসি চালাতে সংযমী হওয়ার এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।কিন্তু এসব পদক্ষেপ কী সঙ্কট মোকাবেলায় যথেষ্ট? সঙ্কটের গভীরতাই বা কতটুকু? যখন দেশে নিজস্ব গ্যাসের উৎপাদন দিন দিন কমছে এবং যুদ্ধের অভিঘাতে আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম ক্রমশই চড়ছে, তারমধ্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে আর কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার?বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ কী- জানতে চাওয়া হলে জ্বালানি নীতি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উত্তরণ ঘটানোর খুব একটা পথ এ মুহূর্তে নেই।”