পাঞ্জাব পরিষদের ২০টি আসনে আসন্ন উপ-নির্বাচনে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) ঠেকাতে ক্ষমতাসীন মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। এদের একজন ফেডারেল মন্ত্রী, অপরজন প্রাদেশিক। তবে বিশ্লেষকেরা এই পদত্যাগের পেছনে আরো নানা কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন। বিশেষ করে পদত্যাগকারী দুজনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ গ্রুপের হওয়ায় দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বও নেপথ্যে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন কেউ কেউ। ১৭ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।পদত্যাগকারী দুই মন্ত্রী হলেন ফেডারেল অর্থনৈতিক বিষয়ক সর্দার আয়াজ সাদিক এবং পাঞ্জাবের সালমান রফিক। তারা শনিবার ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। পাকিস্তান যখন অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুঁকছে, তখন এই কেন্দ্রীয় অর্থবিষয়ক মন্ত্রীর পদত্যাগ কতটা যৌক্তিক, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে। অবশ্য, দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচনের পর তারা আবার মন্ত্রিসভায় ফিরে যাবেন।উল্লেখ্য, ওই ২০টি আসনের উপ-নির্বাচন পাকিস্তানের রাজনৈতিক সমীকরণে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। পাঞ্জাবে মুসলিম লিগ-এন সরকার টিকে থাকতে হলে এই উপনির্বাচনে তাদের কয়েকটি আসনে জয়ী হতেই হবে। আবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ছেড়ে দেয়ার লোক নন। তিনি পুরো নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। এই আসনগুলোতে জয়ী হলে পাঞ্জাবে তার দল আবার ক্ষমতায় আসতে পারবে।তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, পদত্যাগকারী সাদিক ও রফিক এই উপ-নির্বাচনে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারবেন না। বরং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং লন্ডনে অবস্থানরত নওয়াজ শরিফের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণেই ওই দুজন পদত্যাগ করেছেন। তারা দুজনই নওয়াজ গ্রুপের সদস্য বলে পরিচিত।দুই ভাইয়ের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। বিশেষ করে নওয়াজ চান অর্থমন্ত্রী পদে ইসহাক দারকে। কিন্তু শাহবাজ শরিফ চাচ্ছেন মিফতাহ ইসমাইলকে বহাল রাখতে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডসহ আরো কিছু নিয়োগ নিয়েও দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব চলছে বলে কেউ কেউ বলছেন। সূত্র : ডন