স্টাফ রিপোর্টারঃ সময় টা ছিল ২০১৪ সাল, ফেইছবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় মেহেদী হাসান প্রিন্স (৩৩) এর সাথে সিংগাপুরের আইরিন (৫৮) বৃদ্ধা এক মহিলার। মেহেদী হাসান বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত আছেন ১৫ বছর যাবৎ। শুরু তে sister হিসেবে সম্বোধন করলেও পরবর্তীতে ঐ মহিলার চার ছেলের মধ্যে সব চেয়ে ছোট ছেলের বয়সের চেয়ে কম বয়স হওয়ায় প্রিন্স মেহেদী কে ছেলে হিসেবেই সম্বোধন করেন। এরপর থেকেই মা ছেলের নিয়মিত চ্যাটিং হয়। ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশে আসার ইনবাইট করেন প্রিন্স মেহেদী এবং ঢাকাতে আরও দুইজন বন্ধু সহ এসে ৪ দিন ঘুরে ফেরত চলে যান সিংগাপুর। তবে বাকী দুই ফ্রেন্ড এর বাংলাদেশ তেমন ভাল না লাগলেও ঐ মহিলার বাংলাদেশ অনেক ভাল লেগে যায় তাই পরের বছর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আবারও বাংলাদেশে ঘুরতে আসেন তবে এবার শুধু ঢাকা-ই নয় ঘুরেছেন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম। টাংগাইল যমুনা সেতু সহ অনেক যায়গায় ঘুরেছেন। ইচ্ছে ছিল ছেলে প্রিন্স মেহেদীর কুমিল্লাতে গ্রামের বাড়ি দেখা,তাই গ্রামে এসে প্রিন্স মেহেদীর নিজের মায়ের সাথে ও স্ত্রী সন্তানের সাথে একদিন একরাত সময় কাটান ও ৫ দিনের ট্যুর শেষে আবারও সিংগাপুর ফেরত চলে যান। ২০২০ সালের শুরুতে ৪ সাপ্তাহের সরকারি ট্রেনিংয়ের জন্য প্রিন্স মেহেদী সিংগাপুর গিয়েছিলেন, তখনও মায়ের সাথে দেখা হয়েছিল বেশ কয়েকবার।শেষমেশ, ২০২২ সালের ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানি ঈদের দিন আবারও ফ্লাই করে বাংলাদেশে আসেন। এবারের ইচ্ছে ছেলে প্রিন্স মেহেদীর পরিবারের সাথে একদিন নয় বেশ কয়েকদিন কাটাবেন তার গ্রামের বাড়িতে। তাইতো এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি প্রিন্স মেহেদী গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাইড়া গ্রামে আসেন। ১০ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ছিলেন এই পরিবারের সাথে। অন্য ধর্মের হয়েও রাজাবাড়ি মসজিদের কাজের জন্য মসজিদ কমিটির হাতে ৬০ হাজার টাকা ও বাইড়া হাফেজিয়া মসজিদে এতিম বাচ্চাদের জন্য মাদ্রাসার বড় হুজুরের নিকট নিজ হাতে ৪০ হাজার টাকা হস্তান্তর করেন।ঢাকা ও টাংগাইল বাকি ২ দিন ঘুরে ১৭ জুলাই সিংগাপুর ফেরত যাবেন বিদেশি এই মহিলা। কিন্তু কথা দিয়ে গেছেন আগামী বছরের শীতকালে অবস্যই ঘুরতে আসবেন। কারন, বাইড়া গ্রাম তার কাছে অনেক ভাল লেগেছে।