ইশরাত মুহাম্মদ শাহ জাহান-মহেশখালী,কক্সবাজার ভোলার মনপুরা উপজেলার চরনিজাম এলাকা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ভাসমান নৌযানটি কোনো জাহাজ নয়, একটি বার্জ। বার্জ হচ্ছে ছোট আকারের জলযান। যা বন্দর থেকে নৌপথে পণ্য পরিবহন করে বলে জানিয়েছেন মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান।শুক্রবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় তিনি বলেন, বার্জটি নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ড দেখভাল করছে। এটি বিদেশি কোনো নৌযানও নয়। বরং বাংলাদেশে নির্মাণাধীন মেগা প্রজেক্ট মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজে ব্যবহৃত একটি জলযান।আল নোমান বলেন, এখন পর্যন্ত আমি জানতে পেরেছি রাডারের তরঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে বার্জটি গন্তব্যচ্যুত হয়ে ভাসতে ভাসতে এই এলাকায় চলে এসেছে। নদী শাসনের জন্য পাথর আমদানিতে বার্জটি ব্যবহার করতো প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সরকারি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বার্জটি টেনে নিতে টার্ক বোট নিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে। আশা করি শনিবারের (১৬ জুলাই) মধ্যে তাদের কাছে বার্জটি হস্তান্তর করা যাবে। বার্জে যে পাথরগুলো রয়েছে সেগুলো নদী শাসনের কাজে বিভিন্ন প্রকল্প এলাকায় ফেলা হয়।প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) ‘আল কুবতান’ নামের ওই বার্জটি ভাসতে দেখে স্থানীয় প্রশাসনকে জানায় লোকজন। প্রাথমিক ভাবে বিদেশি জাহাজ বলে তথ্য ছড়িয়ে পড়লেও পরবর্তীতে তা ভুল প্রমাণিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন, ভাসমান নৌযানটির মালামাল নিকটবর্তী চরনিজাম ও ঢালচরের স্থানীয় বাসিন্দারা ট্রলারে গিয়ে নিয়ে আসছেন।মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদ বলেন, আমি গতকাল সেখানে গিয়েছিলাম। এখন আবার যাচ্ছি। সাগর উত্তাল থাকায় যাতায়াতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পেরেছি সেটিতে বাংলাদেশের পণ্য ছিল। কিন্তু কোথা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পাথরবোঝাই নৌযানটির উপরের অংশ খোলা। এতে একটি এস্কাভেটর মেশিন, পাথর ভাঙার মেশিন ও প্রয়োজনীয় মালামাল রয়েছে।