ইউনুছ কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফের ১০ বস্তা চাল জব্দ করেছে নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র। শনিবার দুপুরে উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকার আনন্দ বাজারে এ চালগুলো আটক করে স্থানীয়রা । পরে ওই দিনে পুলিশ সদস্যরা এসে চালগুলো জব্দ করে থানায় নেয়।জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব চাল সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণের জন্যে তালিকা প্রণয়ন করা হলেও হত-দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ না করে অবৈধপন্থায় বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ উঠে। চালগুলো আটক হওয়ার পর কেউই এর দায়ভার নিচ্ছেন না।কিছু চাল বিতরণ করলেও অনেক সুবিধাভোগী চাল পাননি বলে অভিযোগও রয়েছে। চালসহ আটক ঘোড়ার গাড়ী চালক মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, শান্তিচর এলাকার তমিজ খানের কাছ থেকে মমদেল মিয়া চালগুলো কিনে নেয়। পরে আমার গাড়ী করে চাল নেওয়ার পথে আনন্দ বাজার এলাকায় আটকে দেয় জনগণ। তিনি আরও বলেন, শুনেছি চালগুলো সাহেবের আলগা গ্রামের রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ছিল। সাহেবের আলগা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ বলেন, চেয়ারম্যান চালগুলো কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন। জনগণ চাল ধরার পর তিনি অস্বীকার করছেন। অথচ অনেক গরীব মানুষ চাল পাননি। একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি শাহ আলম কবীর হোসেন বলেন, এ চেয়ারম্যান মানুষের মাঝে চাল বিতরণ না করে গোপনে অন্যের কাছে বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অভিযোগ দিয়েছি। পাশাপাশি থানাও অবগত করে ১০ বস্তা চাল জব্দ করেছে পুলিশ।
সাহেবের আলগা ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, আটককৃত চালগুলো কার বা কে নিয়েছে তা আমার জানার বিষয় না। তবে আমার নামে এলাকায় মিথ্যা প্রচার করছে দলীয় নেতাকমর্ীরা। তিনি আরও বলেন, তালিকা অনুযায়ী আমি চাল বিতরণ করেছি। চাল বিতরণ কালে কোন অনিয়ম বা বিক্রির মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। অভিযুক্ত রফিকুল আমার সম্পর্কে কিছুই হয় না বলে জানান তিনি।
নামাজেরচর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল্লাহ্ বলেন, ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে জনগণের হাতে আটক হওয়া ১০ বস্তা চাল থানায় নেওয়া হয়েছে।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতার্ মো. সিরাজুদ্দৌলা’র সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে এ সম্পর্কে কথা বলা সম্ভব হয়নি।উলিপুর উপজেলা নিবাহর্ী অফিসার বিপুল কুমার জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়ছি। বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।