ডেস্ক রিপোর্ট দৈনিক শিরোমণিঃ খুলনার ফুলতলায় কিশোরের দুটি হাত ও পায়ের আঙ্গুল কেটেনিলো নিজের আপন ফুপা। গত ২১ ই জুন ২০২২ তারিখ খুলনার ফুলতলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মোঃ হোসেনের ছেলে শাকিল শেখ (১৮) নামক এক কিশোরের ২ টি হাত ও একটি পায়ের আঙুল কর্তন করে নিয়েছে নিজের আপন ফুপা অভিযোগ শাকিলের। জানাযায় কিশোর শাকিল নিতান্তই গরিব, অসহায় ও এতিম, ছোট বেলা থেকে ফুপার বাড়িতেই সে বড় হয়ে ওঠে। বর্তমানে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে কর্মের মাধ্যমে সে জীবীকা নির্বাহ করে। শখের বশে সে একটি পুরাতন স্মার্ট ফোন ক্রয় করে যেটা তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। এতিম হওয়ার কারনে কেহ নেই তার পাশে দাড়াবার জন্য, মানুষের দ্বারেদ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিচারের প্রত্যাশায়। শাকিলের সাথে কথা বলে জানা যায় সামান্য ২৫০০ টাকার একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে তার ফুফার সাথে শাকিল বাকবিতন্ডে জড়িয়ে পড়ে। শাকিল মোবাইলটা কোথাও থেকে চুরি করে এনেছে এমন ধারনা থেকেই ফুপার সাথে তার বাকবিতন্ডা শুরু হয়। জোর পূর্বক মোবাইলটা তার কাছ থেকে কেড়ে নিতে চাইলে সে দৌড় দেয়, তখন বেগুনবাড়িয়া গ্রামের পির মোহাম্মদের ছেলে শাকিলের ফুফা ওলিয়ার তরফদার ও রফিক তরফদার সহ আরো দুইজন শাকিল কে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে শাকিলকে আটকিয়ে মোবাইল ফোনটি নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে, মোবাইল না দেওয়ায় তার ফুপা ওলিয়ার রহমান এবং অজ্ঞাত ২ জন শাকিলকে মারপিট করে এবং চোর সাব্যস্ত করে হত্যার উদ্দেশ্যে ২ হাত চাপাটি দ্বারা কেটে ফেলে এবং পায়ের আঙ্গুল কেটে বেজেরডাঙ্গা রেললাইনের উপর ফেলে রেখে যায়। কিন্তু ❝রাখে আল্লাহ মারে কে❞ আনুমানিক সকাল ৫.৩০ মিনিটের সময় রেল পার্টির উপর শায়িত অবস্থায় ট্রেনের শব্দে জেগে উঠে। অসহায় শাকিল শারিরিক অত্যাচার ও অঙ্গহানির কারনে উঠার চেষ্টা করেও উঠতে না পারায় আতংক গ্রস্ত হয়ে চিৎকার শুরু করে। চিৎকারের শব্দ শুনে লোকজন জড়ো হয়ে তাকে তাৎক্ষনিক উদ্ধার করে। উদ্ধার পরবর্তী উদ্ধারকারীরা দেখতে পায় শাকিলের ২ টি হাত ও পায়ের আঙ্গুল দ্বিখণ্ডিত। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হসপিটালে পাঠায় এবং শাকিল শেখের ফুপু নিজেকে নিরপরাধ দেখানোর জন্য নিজে বাদী হয়ে খুলনা কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। কিন্তু শাকিল নিজ মুখে স্পষ্ট ভাবে তার ফুফা ওলিয়ারকে ও রফিকুলকে দায়ি করে কথা বলছে। এমনকি সাংবাদিকদের সামনেও তাদের নাম উল্লেখ করে বক্তব্য রাখে। আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। শাকিলের দাবি তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি বেঁচে যাওয়ায় আমার ফুফারা এখন আমার পক্ষ নিচ্ছে, আমি এদের শাস্তি চাই। ফুলতলা ৪ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে জানা যায় এই বিষয়টা তিনি অবগত আছেন। ট্রেনে কাটা নাকি হাত কেটে ফেলা হয় এটা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে আছি আমরা ও গ্রামবাসী। ফুলতলা থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে কথা বলে জানা যায় বিষয়টি রেল পুলিশ দেখবে এবং বিষয়টি সত্য উদঘাটন করে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব। শাকিল তার ফুফা রফিকুল, ওলিয়ার ও তার স্ত্রী নারগিস সহ অজ্ঞাত আর ১ মোট ৪ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। যাহা মামলা- স্বারক নং ১৮৭৬ তারিখ -১৭/৭/২২