জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে পল্লী বিদ্যুৎ গোপালপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানজার (ডিজিএম) মো. মাজহারুল ইসলামকে শোকজ করা হয়েছে। বিধি পরিপন্থি কাজের জন্য কেন তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবেনা, তা দুই কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা প্রদান করার কথা বলা হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক গত সোমবার এ নোটিশ দেন।
গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও তথ্য অধিদপ্তর জাতীয় পতাকা সঠিক নিয়মে অর্ধনমিত রাখার সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেন। কিন্তু গোপালপুর পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসে জাতীয় পতাকা নির্দেশিত নিয়মে সঠিকভাবে দন্ডের সাথে উত্তোলন করা হয়নি। পাশাপাশি জরাজীর্ন বাঁশের সাথে রাত ৯টা পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলিত ছিল। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে জাতীয় পতাকা যথানিয়মে অর্ধনমিত না রাখা দিবসটির প্রতি সম্মান প্রদর্শন অবহেলার সামিল এবং জাতীয় পতাকা বিধিমালা ১৯৭২ এর পরিপন্থি ও শাস্তিযাগ্য অপরাধ।
এ ব্যাপার ডিজিএম মো. মাজহারুল ইসলাম গোপালপুর বার্তাকে জানান, তিনি গত মঙ্গলবার কারণ দর্শানোর নোটিস পান এবং যথাসময় তার জবাব দেন। তিনি কি জবাব দিয়েছেন প্রশ্নে জানান, ১৪ আগস্ট সারারাত জেগে তিনি কাজ করেছেন। শরীর খারাপ থাকা সত্বেও শোক দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। কিন্তু অফিস না যাওয়ায় কখন, কিভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা নামানো হয় তা তিনি জানেন না। দায়িত্ব অবহেলার কারণে পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মচারিকে তিনিও শোকজ করেছেন। আর পুরো ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. পারভেজ মল্লিক জানান, ডিজিএম মাজহারুল ইসলামের শোকজের জবাব গত বুধবার টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তিনি নিয়মানুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এদিকে গত সোমবার এ নিয়ে গোপালপুর বার্তায় খবর প্রকাশের পর পাঠকদের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। কেউ কেউ সুচালো বা তীক্ষ্ণ কমেন্টস করেন। বলা হয়, গোপালপুর বিদ্যুৎ অফিস গ্রাহকদের বিদ্যুৎ কম দেয়। কিন্তু ঘুষের রেট কমায়না। দালাল ছাড়া এ অফিসে কাজ করা দায়। অফিসের পিয়ন চাপরাশিরা পর্যন্ত ঘুষের জন্য মুখ ব্যাদান করে থাকে। সারাদেশের অফিস আদালতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঘুষ, বখরা বা কমিশন চালু হলেও গোপালপুর জোনাল অফিসে ঘুষঘাষ চলে এনালগ সিস্টেমে।