শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট : চা-শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি এবংমজুরি ৩০০ টাকা করার দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড ডাঃ এম এ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান আজ ১৮ আগস্ট ২০২২ সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে এই আহবান জানান। নেতৃদ্বয় বলেন মোট ২৪১টি চা-বাগানের শ্রমিকরা বর্তমানে আন্দোলন করছে তাদের এই আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাই অবিলম্বে তাদের ন্যায়সংগত দাবি মজুরী দৈনিক ৩০০ টাকা মেনে নেয়ার জন্য মালিক-সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, বাংলাদেশের সব চাইতে অবহেলিত শোষিত ও বন্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠি হলো চা-শ্রমিকেরা। দেশের অন্য যেকোন খাতের তুলনায় চা-শ্রমিকদের মজুরি সর্বনিম্ন দিনে ২৩/২৪ কেজি চা-পাতা (নিরিখ) তুলতে পারলেই তাদের মজুরি মাত্র ১২০ টাকা পায়। এতো কম মজুরি দেশের আর কোন শ্রমিকের নাই। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও বলেন চা শ্রমিকদের না আছে কোন ভালো বাসস্হান, খাওয়ার পানি, চিকিৎসা ও সন্তানের লেখাপড়ার ব্যবস্থা। নিয়ম অনুযায়ী ২ বছর পর পর মজুরি পুননির্ধারণ হওয়ার কথা। কিন্তু দালাল শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিকদের যোগসাজসে প্রতিবারেই দেড়/ দুই বছর মজুরি নির্ধারণ প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে রেখে শ্রমিকদের ঠকানো হয়। এবারেও মজুরি নির্ধারণের সময় প্রায় ২০ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও মজুরি বোর্ড এর কোন তৎপরতা না থাকায় শ্রমিকেরা প্রথমে দিনে ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে। এতেও মালিক-সরকারের টনক না নড়ায় গত ১৩ আগস্ট থেকে দেশের ২৪১টি বাগানে পূর্ণ কর্ম বিরতি পালন করছে চা-শ্রমিকেরা। ইতিমধ্যেই চা-শ্রমিকদের আন্দোলন পুলিশ দিয়ে দমনেরও চেষ্টা চলছে। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও বলেন চা-শ্রমিকদের ন্যায় সংগত আন্দোলনে পুলিশী বাধা ও হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।নেতৃদ্বয় বলেন গত ১৬ আগস্ট শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে শ্রম অধিদপ্তরের বৈঠকে কোন ধরনের সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছে এবং আগামী ২৩ আগস্ট আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠকের দিন ধায্য করা হয়েছে। কিন্তু বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়াও ঘোষণা দিয়েছে আমরা এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি। বিবৃতিতে বলা হয়, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সরকারের পক্ষ থেকে দিন মজুরদের মজুরি দৈনিক ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানের বাজার দর অনুযায়ী চা-শ্রমিকের ন্যূনতম দৈনিক মজুরি কমপক্ষে ৫০০ টাকা হওয়ার কথা। অথচ চা-শ্রমিকেরা মাত্র ৩০০ টাকা মজুরি দাবি করার পরও তা মানছে না মালিকেরা। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় অবিলম্বে চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিসহ ন্যায়সংগত সকল দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।দেশপ্রেমিক জনগণকে চা-শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।