সবুজ ভদ্র, বিশেষ প্রতিনিধি, চাঁদপুর :চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলা ৫নং গুপ্টি পুর্ব ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড আস্টা গ্রামের বীর মুক্তিযুদ্ধা খোকন চন্দ্র সরকারের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি আবাসন প্রকল্পের নির্মান কাজে বাঁধা প্রদান করেন একটি সংঘবদ্ধ মহল। বাঁধা প্রদান কারী দের মধ্যে অন্যতম হলেন আব্দুল আওয়াল চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আব্দুল রহিম চৌধুরী গং।
বীর মুক্তিযুদ্ধা খোকন চন্দ্র সরকার অভিযোগ করে বলেন সরকার আমাকে ঘর দিয়েছেন কিন্তু তাও নির্মানে বাঁধা প্রদান করে আসছে একটি মহল। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে কেঁদে উঠে বলেন হয়তো বুঝি আর নির্মাণ হবে না সরকার আমাকে দেওয়া আবাসন প্রকল্পে পাওয়া বসত ঘর খানা। সরজমিনে গিয়ে ও এলাকার বাসিন্দাদের তথ্য মতে জানা যায়, স্বাধীনতার পুর্ব থেকে খোকন চন্দ্র সরকার গংরা প্রকল্পের নির্মাণাধীন উল্লেখিত বসবাস করছে আসছেন, যাহা আস্টা মৌজার, খতিয়ান ৫৬৪, দাগ নং ৬৭০ জমির পরিমান ৬ শতাংশ তার নিজ সম্পত্তি। আবাসন প্রকল্পের নির্মান কাজ গত ৬ জুলাই থেকে ১০ জুলাই কাজ চলমান রয়েছে। ১১ জুলাই প্রতিপক্ষ কাজে বাঁধা প্রদান করে, বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে।
বীর মুক্তিযুদ্ধা খোকন চন্দ্র সরকার জানান, আমরা স্বাধীনতার পুর্বে থেকে এখানে বসবাস করে আসছি কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের প্রতিপক্ষ প্রভাশালী আব্দুল আওয়াল চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আব্দুল রহিম চৌধুরী গংরা পুরো বাড়ি দখল করার লক্ষ্যে আমার এক ভাই এর জমি কৌশলে ক্রয় করে নেন তারা। তারপর থেকেই তারা আমাকেও বিভিন্ন ভাবে কৌশল অবলম্বন করে আমার জায়গাটি ক্রয় করতে চেয়েছিল এবং আমাকে বাড়ি ছাড়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় এবং আদালতে মামলাও করে। আদালতে অভিযোগ মামলায় আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। আমি ৩ বার রায় পেয়েছি। তারপর ও তারা বসে থাকেনি বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, আমাদের ঘর না থাকার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন প্রকল্প দেয়, এতে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের হয়রানি শুরু করেছে আমাদের কাজ বাঁধা প্রদান করে বন্ধ রেখেছে। তিনি আরো জানান আবাসন প্রকল্পটি যখন আসছে ভুমি অফিস থেকে যাচাই বাছাই করে কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন এবং ৬ দিন কাজ চলার পর এখন তারা ক্ষমতার দাপটে দেখিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা খোকন চন্দ্র সরকার বলেন আমি বিষয়টি আমাদের অভিভাবক চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তিনি আরো বলেন আমি সকলের মাধ্যমে বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে চাচ্ছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমুন নেছা জানান সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে।