সবুজ ভদ্র, চাঁদপুর :চাঁদপুরে পুরনো প্রেমিককে বশে এনে দেবার কথা বলে যুবতীকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ভন্ড তান্ত্রিক কবিরাজ ইব্রাহিম (৫৫) কে আটক করেছে পুলিশ। ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে ভুক্তোভোগী যুবতী কথিত তান্ত্রিক ইব্রাহিম(৫৫) কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে যাহার মামলা নং-০৩।
গত ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রি. শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই মো. রাকিবুল ইসলাম শহরের যমুনা রোড থেকে তান্ত্রিক কবিরাজ ইব্রাহীম কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
আটক তান্ত্রিক কবিরাজ ইব্রাহিম শহরের বড় স্টেশন যমুনা রোডের মৃত. তৈয়ব আলীর ছেলে। ভুক্তভোগী যুবতী ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। ঘটনার পরপর তান্ত্রিক কবিরাজ পালিয়ে যায়।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের যমুনা রোডে মা মেডিকেলের ঔষধ ফার্মেসীর দোকানে পেশায় তান্ত্রীক কবিরাজ ও ডাক্তারী কাজ করে থাকে। যুবতীর ব্যক্তিগত সমস্যাসহ প্রেমিকের সাথে দূরত্ব হওয়ায় তাহার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ভাল হওয়ার জন্য তান্ত্রিক কবিরাজের কাছে যায়। বিভিন্ন উপায়ে যুবতীকে কু-প্রস্তাব এবং দৈহিক মিলন করলে প্রেমিকের সাথে ভাল সম্পর্ক হবে বলে তান্ত্রিক জানায়। গত ২৪ আগষ্ট রাতে যুবতীকে দেখা করার জন্য বলে কবিরাজ।
পরে কবিরাজের কথা বিশ্বাস করে গত ২৪ আগষ্ট ২০২২ খ্রি. রাত ১১ টায় তার ফার্মেসীতে যায় যুবতী। দীর্ঘ সময় কথাবার্তা বলার পর কবিরাজ কৌশলে তার বসতঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। পরে কবিরাজ আসন দিবে বলে যুবতীকে তার পরিহিত জামা কাপড় খুলতে বলে। একপর্যায়ে তার বসত ঘর হইতে বাহির হওয়ার চেষ্টা করলে কবিরাজ জোর পূর্বক ঘরের দরজা বন্ধ করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক যুবতীকেযুবতীকে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী যুবতী জানান, দূর সম্পর্কের আত্মীয় যমুনা রোডের সেকুল, স্বপ্না ও রহিমা আমাকে কবিরাজ ইব্রাহিমের কাছে নিয়ে যায়। আমার সমস্যা সমাধান করবে বলে ৫০ হাজার টাকার চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী প্রথমে ২১ হাজার টাকা প্রদান করি। পরে পর্যায়ক্রমে আরও ৩০ হাজার টাকা প্রদান করি। টাকা দেওয়ার পর নির্জনে আসন দিবে বলে তার বাসায় আসতে বলে।
তার কথা মত আমি কবিরাজের বাসায় যাই। আসন দেওয়ার পর ধুপের ধোয়ায় আমি প্রায় অচেতন হয়ে পড়ি। পড়ে সে আমাকে সারারাত ধর্ষণ করে।
সকালে তার ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপর আরও দুইদিন আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এছাড়া আমাকে ফার্মেসীর ভেতরে রেখে তার স্ত্রীসহ অনেক মারধর করে। আমি প্রশাসনের কাছে তার বিচার চাই।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, অভিযুক্ত কবিরাজ ইব্রাহিমকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।