নুরে আলম সিদ্দিকী সবুজ, সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের মধপুর (আড়িয়াঘাট) গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত জেরে মারপিটে উভয় পক্ষের ৫জন আহত থানায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ। ৯ অক্টোবর রবিবার দুপুরে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘটনাটি ঘটেছে। আহতরা সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা হলেন, মধুপুর (আড়িয়াঘাট) গ্রামের মৃত ওজিবর রহমান বেপারীর ছেলে দুলু বেপারী, দুলুর ছেলে সাগর হোসেন ও শাওন। অপর পক্ষের জিল্লুর বেপারী ও তার স্ত্রী মনিরা বেগম এর মধ্যে জিল্লুর রহমান প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে। এঘটনায় আহত
দুলু বেপারী বাদী হয়ে ৭জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দুলু বেপারীর পত্রিক সম্পত্তি মধুপুর মৌজায় বাজার সংলগ্ন ৭৪ শতাংশ জমি খাজনা খারিজ পরিশোধ করে ভোগ দখল আসতেছে। উক্ত জমিতে ৯ অক্টোবর দুপুর ১২ টায় রাজমিস্ত্রী দ্বারা দোকান ঘর নির্মাণ করতে লাগলে একই গ্রামের মৃত হবিবর রহমান বেপারীর ছেলে আব্দুল জলিল, জিল্লুর রহমান, আব্দুল মমিন, আব্দুল বারী, আব্দুল আলিম, আব্দুল লতিফ বেপারী, আব্দুল লতিফের ছেলে সোহাগ বেপরী। প্রতিপক্ষ জিল্লুরের লোকজন এসে অতর্কিতভাবে দুলুকে আঘাত করতে থাকে দুলুর চিৎকারে তার দুই ছেলে সাগর, শাওন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও লোহার রড, টেটা দিয়ে এলোপাথারি ভাবে মারপিট করতে থাকে। তারা জীবন বাচানোর তাগিদে চিৎকার করলে আশ পাশের লোকজন আগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষরা হত্যার হুমকী দিয়ে ঘটনা স্থলে ত্যাগ করে। স্থানীরা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ জিল্লুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ দ্বারা জমি বল্টন করে ভোগ দখল করে আসছি। আজ হঠাৎ সেই জমিতে দুলুএবং তাদের লোকজন দ্বারা ইটের প্রাচীর নির্মাণ করছে। আমরা তাদেরকে
নির্মাণ করতে নিষেধ করি মাত্র। আমরা তাদেরকে মারপিট করিনি, তারাই ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে মারপিট করে এবং আমার স্ত্রী মনিরা ৪ মাসের অন্তসত্তাকে ইট দ্বারা কমরে আঘাত করলে সে ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তাকে সোনাতলা হাসপাতালে ভর্তি করি। তার অব¯’ার অবনতি হলে ডাক্তার তাকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসান জানান, পূর্ব থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। আজকে দুপুরে ৯৯৯ লাইনে দুপক্ষের উত্তেজনার ফোন আসলেতাৎক্ষনাত ঘটনাস্থলে পুলিশ যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এবিষয়ে উভয় পক্ষের দুটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।