আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। সেইসঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা এবং সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করুন।’
শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ চোরের দল আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কথাটি আমার নয়, তাদের নেতা দুর্ভিক্ষের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এটি বলেছিলেন।’তিনি বলেন, ‘লোভ, চুরি-সন্ত্রাস আওয়ামী লীগের মুদ্রাগত ও প্রকৃতিগত দোষ। উন্নয়ন ও কুইক রেন্টালের মানে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করছে। আওয়ামী লীগ কথায় কথায় লাঠি নিয়ে আসে, হুংকার দেয়।’ তিনি বলেন, ‘হুংকার দিয়ে লাভ হবে না।’
ফখরুল বলেন, ‘সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সংবাদপত্রে স্বাধীনতা গর্ব করেছে। ফেসবুক, নিয়ন্ত্রণ করতেই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করেছে এই সরকার।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে জ্বালানি তেলে, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামহীন। ১০ টাকায়, চাল, ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কিছুই করতে পারে নাই। বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে দলীয়করণ করায় মানুষ সঠিক বিচার পায় না।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ইতোমধ্যেই বিএনপির ৫ জন বীর সেনা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তাদের রক্তদানকে বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য সারাজীবন যিনি চেষ্টা চালিয়েছেন, সংগ্রাম করেছেন, তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে গৃহে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। সেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জন্য ময়মনসিংহের বন্ধুরা মঞ্চে একটি চেয়ার খালি রেখেছেন।’ সেজন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায় আবু ওয়াহাব আকন্দ ও উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান ফজলু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কাউসার কামাল, বিএনপির সহ-সাংঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন ও শরীফুল আলম, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি অফরোজা আব্বাস ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনসহ অন্যান্যরা।