মনোয়ারুল ইসলাম মনা নামে একজন কলাই চাষি জানান, ১২ বিঘা জমিতে এ বছর একটি আম বাগান গড়ে তুলেছি। আমার নতুন এই বাগানে ছোট ছোট আম গাছগুলোর ফাঁকে চাষ করছি মাসকলাই। মাসকলাইয় চাষে খরচ কম হওয়ায় গত বছর অল্প কিছু জমিতে মাসকলাই চাষ করেছিলাম। এতে আমার খরচ হয়েছিল প্রায় ৪-৬ হাজার টাকা। আর ওই জমি থেকে মাসকলাই হয়েছিল প্রায় ২১ মণ। যা বিক্রি করেছিলাম প্রায় ৫৭ হাজার টাকায়। তাই এবারও নতুন বাগানে ১২ বিঘা জমিতে চাষ করছি মাসকলাই। ফসলের বর্তমান অবস্থা দেখে আশা করছি এবার ফলন আরও বেশি হবে।
স্থানীয় কৃষক বাবুল আকতার জানান, গতবছর কম ছিল। এবার অনেকেই বেশী করে চাষ করেছে মাসকলাই। আমার এক প্রতিবেশী চাষীর মাসকলাই চাষের সফলতা দেখে আমার নিজের ৫ বিঘা জমিতে মাসকলাই চাষ করছি। ফলনও খুব ভালো হয়েছে। এই ফসল চাষে দু-একবার ভিটামিন আর কীটনাশক স্প্রে করলেই যথেষ্ট। তেমন বেশী খরচও নাই। বিঘা প্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। প্রতি বিঘা জমিতে ৫-৭ মণ পর্যন্ত কলাই উৎপাদন হয়ে থাকে। মাসকলাই বাজারে ৩-৪ হাজার টাকা মণ হিসেবে বিক্রি হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাপাহার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান টকি জানান, এবার উপজেলায় ২১০ হেক্টর জমিতে মাসকলাই চাষ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হেক্টর প্রতি ধরা হয়েছে দেড় থেকে দুই মেট্রিক টন। আর গত বছর চাষ হয়েছিল ৬৫ হেক্টর জমিতে। কৃষকদের আমরা মাসকলাই চাষে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করছি। মাসকলাই মাড়াইয়ের পর কৃষকের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পারলে সামনের বছর মাসকলাই চাষ আরও বাড়বে।