মামলার বিবরনে জানা যায়, সালমানের সাথে ২০২০ সালে ফেসবুকে পরিচয়ের সুবাদে সালমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। একপর্যায়ে গুলশান লেক পার্কে তারা দুজন প্রায় সময়ই দেখা করতেন। একদিন গুলশান নতুন বাজারস্থ এলাকার এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে সালমান জিনাতকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। এসময় চিৎকার চেচামেচিতে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে জনৈক মাওলানার মাধ্যমে তাদেরকে বিয়ে দেন। প্রায় ৩ বছর ২য় স্ত্রীকে নিয়ে সুখেই সংসার করেন তিনি।
এদিকে মামলার বিবরণ ঘেটে আরও জানা যায়, ফসেবুকে পরিচয়ের পর সালমান কেঁদে ঁেকদে প্রতিদিন কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিক জিনাতকে পাঠাতেন। ধীরে ধীরে সালমানের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। বিবাহের পর একপর্যায়ে তিনি সালমানকে কাবিন করার জন্য চাপ দিলে তিনি বলেন তুমি তো আমার ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক স্ত্রী। কাবিনের প্রয়োজন নাই। তিনি এতে সন্তোষ্ট না হলে একটি বø্যাংক স্টাম্পে দস্তখত নিয়ে সালমান বলে এটা দিয়ে কাবিন করবেন।
এরপর নানা টালবাহানা করে বিয়ে করা স্ত্রী জিনাতের সাথে বরাবরের ন্যায় লীভটুগেদার করতে থাকে। পুনরায় কাবিনের জন্য চাপ দিলে গত চার মাস আগে হঠাৎ সালমান তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। আদালতকে বাদী জানান, সালমান যাতে করে আমাকে স্ত্রীর অধিকার দিয়ে ঘরে তুলে সেই ব্যবস্থার জন্য আপনার নিকট জোর দাবী করছি। অন্যতায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যপারে বেগম হাজেরা ইসলাম জিনাত জানান, বিবাহের পর বাসায় আমার জন্মদিনে সালমান আর আমার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি আমার কাছে আছে এমনকি একসাথে একই বাথরুমে দুজন গোসল করারও ভিডিও আছে। আমাকে বউ সম্বোধন করে ফেসবুকে চ্যাটিংয়ের অসংখ্য স্ক্রীনশর্ট আমার কাছে আছে। আমি স্ত্রীর অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত মামলা লড়ে যাবো। জিনাত আরো জানান, সালমান আমাকে অস্বীকার করার পর আমি বানিয়াচংয়ে গিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে বিষয়টি অবগত করি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত সালমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি একটা কথাই বলেন যে, ওই মহিলা ভালো না খুব খারাপ। তিনি যে খারাপ আপনি যোগাযোগ না করলে জানলেন কিভাবে এই প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান।
এমামলার তদন্তকারী আগারগাও পিবিআই কর্মকর্তা এসআই আশরাফুল ইসলাম জানান, তদন্তের কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যেই প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে জমা দেওয়া হবে। ঃ