রোমভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক নাথালি তোকি মনে করেন, আর্থিক সংকটের জেরে ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা কমিয়ে দিতে পারে। তবে সহায়তা কমানোর ক্ষেত্রে আসল বদলটা আনতে পারে যুক্তরাষ্ট্র; ইউরোপ নয়।রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনকে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও পোল্যান্ড। এই তিন দেশ কিয়েভকে মোট ৬০০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পরিমাণটা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় চার গুণের বেশি।এদিকে ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই নির্বাচনের ফলাফল ইউক্রেনে ইউরোপের দেশগুলোর সহায়তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন নাথালি তোকি।নভেম্বরের নির্বাচনে মার্কিন সিনেটে ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান পার্টির লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হতে পারে। তবে প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা জয় পাবে বলে জোরালো আভাস পাওয়া যাচ্ছে। যদি এমনটা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা দেওয়ার মতো ক্ষমতা হাতে পাবে রিপাবলিকান পার্টি। একইভাবে ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বাধা দিতে পারে তারা।ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক নাথালি তোকিও এটাই মনে করছেন। তিনি বলেন, ‘যদি ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমে যায়, তাহলে কয়েক মাসের মধ্যেই যুদ্ধে ইউক্রেনের বাহিনী বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।’