থানা-পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল বিকেলে শরিফুলকে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ও জড়িত অপর ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেন।
পুলিশ জানায়, কয়েক মাস ধরে আবদুল খালেকের সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন শরিফুল। গত ২৫ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুর থেকে গার্মেন্টসের যন্ত্রপাতি নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন তাঁরা। পথে ঢাকার হাতিরঝিল থেকে দুলাভাই পরিচয় দিয়ে ফিরোজ নামের এক ব্যক্তিকে গাড়িতে তোলেন শরিফুল। মেঘনা টোলপ্লাজার আগে বিরতিকালে একটি দোকানে চা খাওয়ার সময় আরও দুজন লোক গোপনে পিকআপের পেছনে ত্রিপলের নিচে ঢুকে পড়েন। এদিকে চায়ের দোকানে কোমলপানীয়র মধ্যে খালেককে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে দেওয়া হয়। এরপর খালেক অচেতন হয়ে পড়লে শরিফ নিজেই পিকআপ চালাতে থাকেন। পথে এক নির্জন এলাকায় তাঁরা খালেককে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। এরপর তাঁর লাশ ফেনীর লেমুয়ার কসকা এলাকায় নির্জন স্থানে ঝোপের মধ্যে ফেলে তাঁরা মালামালবোঝাই পিকআপ নিয়ে চলে যান।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন জানান, শরিফুল ও তাঁর লোকজন পিকআপটিকে কসকা থেকে ইউটার্ন করে আবার ঢাকার দিকে নিয়ে চলে যান। কুমিল্লা বিশ্বরোডে পৌঁছালে শরিফুল নেমে যান। অপর দুজন পিকআপটি নিয়ে ঢাকার গাবতলী গেলে সেখানকার পুলিশ তাঁদের থামায়। এরপর কাগজপত্র আনার কথা বলে তাঁরাও পালিয়ে যান।ঘটনা ধামাচাপা দিতে চালকের সহকারী শরিফুল কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় খালেকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলা হয়, শরিফুলকে অচেতন করে খালেক পিকআপ নিয়ে পালিয়েছেন। তথ্যে নানা অসংগতি ধরা পড়লে একপর্যায়ে শরিফকে গ্রেপ্তার করা হলে পুরো রহস্য বেরিয়ে আসে।ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, সূত্রবিহীন মামলাটির রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ নানাভাবে চেষ্টা চালায়। জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।