টাঙ্গাইলের গোপালপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সাগর আহাম্মেদকে (১৭) কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে দোকান লুটপাট করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার লক্ষীপুর বাজারে এসএল উচ্চ বিদ্যালয়ের গেইটসংলগ্ন সোহেল কসমেটিক্স এন্ড টেলিকমের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই ছেলের বাবা সোহেল রানা বাদী হয়ে অজ্ঞাতসহ ১২জনকে আসামী করে গোপালপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, উপজেলার পঞ্চাশ, চকসোনামুদি ও শাপলাবাড়ী গ্রামবাসীর সাথে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তাদের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম লক্ষীপুর বাজার। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিরোধের সূত্র ধরে এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে। এ সময় পঞ্চাশ গ্রামের আল আমিন (২৫), খাজা মিয়া (৩৬), কায়সার (৩৮), দুলাল মিয়া (৩৬), হামজা মিয়া (২৫), আল আমিন (২৩), জন মিয়া, সাকিল মিয়া (২০), জনি মিয়া (২২), চকসোনামুদি গ্রামের মুকুল মিয়া (২৪) ও আসিফসহ অজ্ঞাতনামা আরোও ৩০/৩৫ জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে দেশীয় অস্ত্র রামদা, চায়নিজ কুড়াল, চাপাতি, লোহার রড, কাঠের চলা ইত্যাদি নিয়ে সোহেল রানার দোকানে হামলা চালিয়ে ছেলে সাগর আহাম্মেদকে পিটিয়ে আহত করে। দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে। তারা দোকান থেকে বিকাশ ব্যবসার চার লক্ষ পচাত্তর হাজার টাকা, পনের হাজার টাকা দামের ফেক্সিলোডের ৩টি মোবাইল নিয়ে যায়। এ ছাড়াও ওয়াল্টনের ফ্রীজ, ফটোকপির মেশিন, সুকেজ, চেয়ার টেবিলসহ দোকানের বেড়ার টিন ভাংচুর করে আনুমানিক এক লক্ষ আশি হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। আহত ছেলের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে খুন জখমের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। পরে আহত সাগর আহাম্মেদকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
গোপালপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।