যশোরের কেশবপুরে শীতের পোষাক কেনার ধুম পড়েছে। হেমন্তের শেষ শীতের শুরুকে উকি দিচ্ছে শীত, ছয় ঋতুর বাংলায় গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ও হেমন্তের দাপট কে আটকে দিয়ে আশ্বিন কে বিদায় জানিয়ে কার্তিকের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ শক্তি হিমেল হাওয়া নিয়ে চলে এলো শীত। শীতের এই হিমেল হাওয়াকে দমাতে বসে নেই কেশবপুরের সাধারন মানুষ। ফুতপাতের বসা গরম কাপড়ের বিক্রেতা ও ক্রেতা রা পুরা দমে চালিয়ে যাচ্ছে তাঁতের কেনা কাটা । শীতের এই হিমেল হাওয়ায় নিজেকে একটু গরম উষ্ণতা দিতে গরম কাপড়ের জন্য ছুটেচলেছে শীতের কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে ফুতপাতে বসে থাকা সাশ্রয়ী মুল্যের শীতের কাপড়ের দোকানে।
যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা যায় এমন দৃশ্য, এদিকে উপজেলার কেশবপুরে আজাদ মার্কেটে পুরাতন শীতের কাপড় কিনতে আসা মিলি বেগম নামে এক মেয়ে জানায় এবছর একটু আগাম শীত অনুভূত হচ্ছে আর হিমেল হাওয়া শুরু করেছে তবে শীতের নিবারণের জন্য আমি আমার নিজের জন্য একটু আগাম শীতের কাপড় কিন্তে আসলাম কিন্তু গত বছরের তুলনায় দাম এবার বেশি নিচ্ছে দোকানিরা।
শীতের কাপড় নিতে আসা আক্তার হোসেন নামে আরো একজন জানান যে গত বছরের তুলনায় এবার শীতের কাপড়ের দাম অনেক বেশি যা হাতের নাগালের বাহিরে কারন আমরা অন্যের জমিতে খেটে খাওয়া মানুষ এত বেশি দাম দিয়ে শীতের কাপড় কেনার মতো আমাদের তেমন সামর্থ্য নেই তবুও কিন্তু কিনতে হবে কারন বাড়িতে বৃদ্ধ মা ও আব্বা, ভাই, বোন, ছেলে , মেয়ে আছে তাদের শীত নিবারনের জন্য দাম বেশি হলে ও কিন্তে হবে।
এদিকে ফুতপাতে শীতের কাপড় নিয়ে বসা ওবাই দোকান দার বলেন এবছর একটু দাম বেশিই হবে শীতের কাপড়ের কারন আমাদের পরিবহন খরচ বেশি তাই দাম ও একটু বেশি কারণ আমাদের দু এক টাকা তো লাভ নিতেই হবে নাহলে আমরা বাচবো কেমন করে শুধু ফুতপাতের দোকান নয় শীত নিবারনের অন্যতম ল্যাপতোশপের দোকানের মালিকরা ও একই কথা বলে এছাড়া ও তারা আরো বলেন এবার ল্যাপতোশপের চাহিদা ও একটু কম কারন বাজারে এখন কম দামের একধরনের কম্বল আসায় মানুষ এখন আর ল্যাপতোশপ বেশি নিতে চায় না পরিবহন খরচ বাড়ায় এগুলোর ও দাম এখন বেশি বেড়ে গেছে এজন্য আমরা দোকানে বেচা কেনা নিয়ে দুচিন্তায় পড়ে আছি। ল্যাপতোষক বিক্রেতা বলেন শীতের শুরুতে সামান্য বিক্রয় হচ্ছে শীত বেশী পড়াকে থাকলে ল্যাপতোষকের চাহিদা বাড়তে থাকবে।