জানা গেছে, এই স্থলবন্দরের জন্য অধিগ্রহণ করা ১০ একর জমির মধ্যে সাত একর জমিই পড়েছে জিরো পয়েন্টের ১৫০ গজের মধ্যে। নিয়ম অনুযায়ী এখানেও বিএসএফের বাধার মুখে কাজের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে ১৫০ গজের বাইরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বন্দর চালুকরণের জন্য ন্যূনতম অবকাঠামো যেমন-সীমানা প্রাচীর, অফিস ভবন, ডরমিটরি, ব্যারাক ভবন ওয়েব্রিজ স্কেল ও ওয়্যারহাউজের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। এই স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।
কাজ করতে না পারার কারণে ঠিকাদারদের সঙ্গে চুক্তি শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে পিইসি সভার আলোচনা হয়। সভায় বলা হয়, ১৫০ গজের বিষয়টি এখনও নিষ্পত্তি হয়নি এবং কবে নিষ্পত্তি হবে তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারকে বসিয়ে না রেখে যতটুকু কাজ করেছে তার পাওনা পরিশোধ করে নিয়ম অনুযায়ী অব্যাহতি প্রদান করা হবে।
এ বিষয়ে বিলোনিয়া স্থলবন্দর প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) মো. ডিএম আতিকুর রহমান বলেন, ‘বিএসএফের বাধার কারণে আমরা ১৫০ গজের ভেতরে কাজ করতে পারছি না। আলোচনা চলছে তারা আমাদের অনুমতি দেবে বলে আশা করছি। আমি গত এক বছর ধরে পিডি হিসেবে আছি। সীমান্তের ১৫০ গজের ভেতরে কেন জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে আমার জানা নেই।’
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাড়াতে ২০১৭ সালে এই তিন স্থলবন্দর নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পগুলো ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এই তিন স্থলবন্দর নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৮০ কোটি ৪৪ লাখ টাকারও বেশি। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এসব প্রকল্পের ১৫০ গজের ভেতরের নির্মাণের বিষয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।