রাশেদুজ্জামান, নওগাঁ প্রতিনিধি ঃ দেশের ধান উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য জেলা সমূহের মধ্যে নওগাঁ জেলায় অভ্যন্তরীণ আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি ঢাকা থেকে ভার্চূয়ালী যুক্ত হয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।চলতি আমন মওসুমে ১১ হাজার ৪শ ৫৪ মের্ট্রিক টন ধান এবং ২২ হাজার ১শ ৩৬ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এ বছর সরকার প্রতি কেজি চাল ৪২ টাকা এবং প্রতি কেজি ধান ২৮ টাকা দরে ক্রয় করবে বলে তিনি জানিয়েছেন। জেলার খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ধান আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আর সিদ্ধ চাল আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ক্রয় করা হবে।উপজেলা ভিত্তিক যথাক্রমে ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ধান ৫৮৬ মেট্রিক টন ও চাল ৯৩৭৪ মেট্রিক টন, রানীনগর উপজেলায় ধান ১১৪৩ মেট্রিক টন ও চাল ৮৫৩ মেট্রিক টন, আত্রাই উপজেলায় ধান ৪০৮ মেট্রিক টন ও বদলগাছি উপজেলায় ধান ৮৩৭ মেট্রিক টন ও চাল ১৫৮ মেট্রিক টন, মহাদেবপুর উপজেলায় ধান ১৬৮৬ মেট্রিক টন ও চাল ৯৪৯৮ মেট্রিক টন, পতœীতলা উপজেলায় ধান ১৪৮৩ মেট্রিক টন ও চাল ৮০৪ মেট্রিক টন, ধামইরহাট উপজেলায় ধান ১১৯৪ মেট্রিক টন ও চাল ২৪৪ মেট্রিক টন, সাপাহার উপজেলায় কেবলমাত্র ধান ৫৭২ মেট্রিক টন, পোরশা উপজেলায় ধান ৮৮১ মেট্রিক টন ও চাল ৪৭৯ মেট্রিক টন, মান্দা উপজেলায় ধান ৯১৯ মেট্রিক টন ও চাল ১৫২ মেট্রিক টন এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ধান ১৭৪৫ ও চাল ২৫৯ মেট্রিক টন। খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার সদর, মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর, রানীনগর ও পোরশাসহ ৫টি উপজেলায় কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করা হবে। অন্য উপজেলা সমূহে উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত কৃষক তালিকা অনুযায়ী ধান সংগ্রহ করা হবে। অপরদিকে নওগাঁ সদর, মহাদেবপুর ও নিয়ামতপুর উপজেলায়”ডিজিটাল চাল সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা”এর মাধ্যমে মিলারদের নিকট থেকে চাল সংগ্রহ করা হবে।