নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষকরা বলেন, স্যার আমরা গরীব মানুষ । ড্রেজার ব্যবসায়ীদের ভয়ে কিছু বলতে পারি না। সরকারের খাল থেকে অনেক দিন ধরে লতিফ ও আনোয়ার মেম্বার মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। ৫ হাজার টাকা দিলে সবায় চলে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর যাবত আনোয়ার মেম্বার ও তার ভাই আব্দুল লতিফ মিয়া- সরকারী খালের ভীতর ড্রেজার বসিয়ে মাটির ব্যাবসা করে আসছেন। খাল থেকে মাটি লুটে নেওয়ার বিষয়টি শ্রীকাইল ভূমি অফিস দেখেও না দেখার ভান করে আছে। খালের ভীতর ড্রেজিং করার কারণে পাশের জমি ভেঙে ডোবায় পরিণত হয়েছে। ভেঙে যাওয়া জমিগুলো নাম মাত্র টাকায় কৃষকদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে সেখানেও চালাচ্ছে ড্রেজিং তান্ডব।
এই ড্রেজার ব্যাবসায়ী আনোয়ারের আছে একটি শক্তিশালী ড্রেজিং চক্র। সে কাউকে তোয়াক্কা না করেই বছরের পর বছর সরকারী খালের ভীতর ড্রেজার বসিয়ে নির্ভিঘ্নে মাটি তুলছেন । তাদের বেপরোয়া ড্রেজিং কর্মকান্ডে অসহায় কৃষক ও স্থানীয় জনগণ।
এব্যাপারে ড্রেজার ব্যাবসায়ী ইউপি সদস্য আনোয়ার বলেন, এখন আমার ড্রেজার বন্ধ । খালে যেই ড্রেজারগুলো আছে সেটি লতিফ মিয়ার। সে আমার ভাই। বিদেশ থেকে এসে বেকার হয়ে যাওয়ায় ড্রেজার ব্যবসা দিয়ে দিছি।
শ্রীকাইল ভূমি অফিসের নায়েব আসাদুজ্জামান বলেন , পেন্নাই গিয়ে আমি ড্রেজার খুজেঁ পাইনি। ড্রেজার ব্যবসায়ীদের কাছে গেলে তারা আমাদের কোন তোয়াক্কা করেনা। তাই আমি এসিল্যান্ড স্যারকে বলছি সাথে পুলিশ দেওয়ার জন্য।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন জনী বলেন, সরকারী খাল কাটার কোন বিধান নাই । যদি কেউ খাল থেকে মাটি উত্তলণ করে থাকে তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।