গোপালপুরে এক ভিক্ষুকের মেয়ে প্রতিবন্ধীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করার ফলে অন্তঃসত্তা হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিকার ও ন্যায় বিচারের আশায় মেয়ের মা বাদি হয়ে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হেমনগর ইউনিয়নের বালোবাড়ী গ্রামের মৃত গোলাপ হোসেনের ছেলে শানশাহ (৩৫) কে একমাত্র আসামী করে ধর্ষণ মামলা করে বিপাকে পড়েছে ধর্ষিতার পরিবার। আসামী ও তার স্বজনরা গর্ভপাত করাতে অসহায় ভিক্ষুক মা ও মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এনিয়ে এলাকায় একাধিক গ্রাম্য সালিশে কোন প্রতিকার না পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোক্তভূগী মা মেয়ে গোপালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এসময় ধর্ষিতা মেয়ে ও তার মা এবং ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ ও মনির হোসেনসহ গণ্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বালোবাড়ী গ্রামের বিধবা এক নারী তার বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করে। মাঝে মাঝে বিধবা তার মেয়েকে বাড়ীতে একা রেখে ভিক্ষার কাজে বের হয়।
সেই সুযোগে মামলার আসামী প্রতিবেশি প্রতিবন্ধী নারীটিকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেয়। মেয়েটি রাজী না হওয়ায় আনুমানিক ৮ মাস আগে ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করে । আর ধর্ষণের বিষয় কাউকে জানালে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। পরে একই কায়দায় বিভিন্ন সময়ে তাকে ধর্ষণ করে। টানা ধর্ষণের ফলে মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয় এবং অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।
গত ১১ আগস্ট গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার আল্ট্রাসনোগ্রাফী করালে জানা যায় মেয়েটি ২০ সপ্তাহের অন্তঃসত্তা। ১২ আগস্ট এ নিয়ে স্থানীয় সালিশে সাক্ষীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে ধর্ষণের বিষয়টি শানশাহ স্বীকার করে।
তখন স্থানীয়রা মেয়ের মাকে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরে মেয়ের মা বাদি হয়ে আদালতে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং/০৩) এর ৯(১) ধারায় মামলা করে। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক আবেদ আলী জানান, মামলার তদন্ত কাজ শেষ, প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে। সন্তান হওয়ার পর তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।