আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, বিএনপি যে ১০ দফা প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে নতুন কিছু নেই। ১০ বছর ধরেই এসব দাবিদাওয়া নিয়ে তারা আন্দোলন করছে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও তারা শক্তি দেখিয়ে দাবি আদায় করতে চেয়েছে। তখন সরকার ও আওয়ামী লীগ তা শক্তি দিয়েই প্রতিহত করেছে এবং বিএনপি হেরে গেছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তিনজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেছেন, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন—সমাবেশে ঘোষণা দিয়ে এই দাবি অর্জন সম্ভব নয়। এমনকি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করার বিষয়টি আলোচনার টেবিলেও আনতে রাজি নন তাঁরা। কারণ, বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোতে তা সম্ভব নয়। ফলে বিএনপিকে দাবি আদায় করতে হলে শক্তি দিয়ে বাধ্য করতে হবে সরকারকে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বিএনপির পক্ষে তা করা সম্ভব হবে না।আ.লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ১০ ডিসেম্বর নিয়ে বিএনপি দেশের রাজনীতিতে একটা বিশেষ আগ্রহ তৈরি করতে পেরেছিল। বিশেষ করে ১০ ডিসেম্বরের পর খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশ চলবে—এটি আলোচনায় এসেছিল। আবার সরকারের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, এমন আলোচনাও ছিল। বাস্তবে এসবের কিছুই হয়নি।বিএনপির সরকারবিরোধী এক দফার আন্দোলনের বিষয়টি মাথায় রেখে এই মুহূর্তে তিনটি অগ্রাধিকার ঠিক করেছে আওয়ামী লীগ। প্রথমত, দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নির্বাচনমুখী করে ভোটের জন্য প্রস্তুত করা। দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের চেষ্টা জোরদার করা। তৃতীয়ত, সরকার সম্পর্কে পশ্চিমা শক্তিগুলোর মধ্যে কিছু নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো।