মোঃ রুবেল আহমেদ (বিশেষ প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের বাংলাবাজার ছামাদিয়া মাদ্রাসার প্রাঙ্গন থেকে রাতের আধারে গাছ চুরির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার দুপুরে মাদ্রাসার প্রধান ফটকে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এলাকার প্রবীন ব্যক্তি শাহাদাৎ হোসেন এতে নেতৃত্ব দেন। বক্তব্য রাখেন বিল্পব পন্ডিত, হাফিজুর রহমান, হাজী আবুল কালাম আজাদ, সোহেল রানা, ফজল হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, মাদরাসা অধ্যক্ষ আবুল কালাম নানা দুর্নীতির সাথে জড়িত। সম্প্রতি তিনি মাদ্রাসা প্রাঙ্গনের কয়েক লক্ষ টাকা দামের প্রাচীন ৮টি গাছ গোপনে কেটে সমিলে পাচার করেন। এলাকার দুজন সমিল মালিক তাকে এ কাজে সহযোগিতা করেন। গাছ কর্তন ও পাচার করা টাকা মাদরাসা ফান্ডে জমা না দিয়ে তিনি সে টাকা আত্মসাৎ করেন। মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি এ ব্যাপারে নীরবতা পালন করায় প্রতিকার চেয়ে মাস খানেক আগে এলাকা বাসিরা উপজেলা প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
কিন্তু উপজেলা প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তারা গাছ চুরি ও পাচারের অভিযোগে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট শামসুল আলম জানান, বিনানুমতিতে অধ্যক্ষ সাহেব গাছ কেটে অন্যায় করেছেন। তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অধ্যক্ষ আবুল কালাম জানান, তিনি গাছ চুরি করেননি। গোপনে কাটেনি। তিনটি গাছ ঝড়ে ভেঙ্গে গিয়েছিল। আর নতুন ভবনের ছাদঢালাইয়ের জন্য তিনটি গাছ কাটা অপরিহার্য ছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মৌখিক অনুমতিক্রমে কয়েকটি গাছ কাটা হয়।
গাছ বিক্রির টাকা মাদ্রাসার ক্যাশে জমা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ মল্লিক জানান, গাছ কাটার ক্ষেত্রে কিছু সরকারি আইনকানুন রয়েছে। অধ্যক্ষ সেই আইনের তোয়াক্কা না করে গাছ কর্তন ও বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
লিখিত অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাকে কখনো মৌখিকভাবে গাছ কাটার জন্য কোন অনুমোদন দেয়া হয়নি।